স্বর্ণ চোরাচালান: মূলহোতারা আড়ালে, ধরা পড়ে চুনোপুঁটি

gold

জুমবাংলা ডেস্ক : স্বর্ণ চোরাচালানে বাহক ধরা পড়লেও এর পেছনে থাকা মূলহোতারা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। এমন দাবি করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সোনার ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত চোরাকারবারিদের বন্ধ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

gold

দেশের সোনার বাজারের মূল নেতৃত্বে কে? চোরাকারবারি নাকি ব্যবসায়ী। বাজুসের দাবি, জল, স্থল ও আকাশপথে প্রতিদিন অন্তত আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার দেশে পাচার হয়।

এর মধ্যে আছে স্বর্ণের অলংকার, স্বর্ণের বার, ব্যবহৃত পুরানো জুয়েলারি ও হীরার অলংকার। যা বছরশেষে দাঁড়ায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চোরাকারবারিদের গ্যাঁড়াকলে পড়ে কমে গেছে বেচাকেনা।

এ অবস্থায় বাজুস বলছে, যারা অবৈধভাবে দেশের বাজারে সোনা নিয়ে আসে তাদের দাম নির্ধারণ করে সিন্ডিকেট। তাই স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করতে আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যাগেজ বিধিমালা সংশোধন করতে হবে। এর সঙ্গে ট্যাক্স ফ্রি অলংকারের ক্ষেত্রে ৫০ গ্রামের সঙ্গে একই যাত্রী বছরে মাত্র ২বার ব্যাগেজ রুলের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এতে কমবে চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য। বাজুসের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, শুল্কমুক্ত ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আনার অনুমতি থাকলেও অনেকেই আনছেন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত।

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ওপর প্রকাশ্যে হামলা

এ সবের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানির সুযোগ আছে তবে তা যৌক্তিক কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির বলেন, চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকা, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা আরও জোরদার করতে হবে। দ্বায়িত্বরতদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রসঙ্গত, ভারতের ৩০টি জেলার সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে; যার মধ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত রুট সোনা চোরাচালানের অন্যতম রুট। যেখানে গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারি কম।