Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home হাজিদের ব্যবহার করে সোনা পাচার, চক্রের সন্ধান
অপরাধ-দুর্নীতি ঢাকা বিভাগীয় সংবাদ

হাজিদের ব্যবহার করে সোনা পাচার, চক্রের সন্ধান

Saiful IslamJune 19, 2025Updated:June 19, 20254 Mins Read
Advertisement

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : হাজিদের ব্যবহার করে সোনা পাচারকারী একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। চক্রের এক সদস্য বর্তমানে সৌদি আরবে কারাবন্দী। দেশে চিহ্নিত করা হয়েছে আরও কয়েকজন সদস্যকে, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

Mosharof
সোনা পাচারকারী চক্রের সদস্য মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ৬০০ গ্রাম সোনা পাচারের চেষ্টায় ছয়জন হাজিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। জেদ্দা বিমানবন্দরে তাঁদের আটক করে সৌদি পুলিশ। পরবর্তীতে হজ ক্যাম্পের মোয়াল্লেম জাকির হোসেন নিজে আটক থাকার শর্তে ওই ছয়জন হাজিকে মুক্ত করেন। বর্তমানে তিনি মদিনার একটি কারাগারে রয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে, যখন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মোশাররফ হোসেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। জানা গেছে, তার কাছে আরেক প্রবাসী মো. বাবুল মিয়া ৪০০ গ্রাম সোনা ও ১০ হাজার সৌদি রিয়াল দেশে পাঠান। এর সঙ্গে মোশাররফ নিজেও আরও ২০০ গ্রাম সোনা আনার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ মোট সোনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশে কাস্টমস বিধি অনুযায়ী একজন যাত্রী ঘোষণাপত্র পূরণ করে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি সোনা আনতে পারেন। এই সীমা অতিক্রম করায় মোশাররফ কৌশল হিসেবে হাজিদের ব্যবহার করার পথ বেছে নেন।

জেদ্দায় অবস্থানরত মোয়াল্লেম জাকির হোসেনের সহায়তায় ছয়জন হাজির হাতে একশ গ্রাম করে মোট ৬০০ গ্রাম সোনা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই ছয়জন হলেন- মিজানুর রহমান, ফারজানা আক্তার, শারমিন আক্তার, নাজমুস সাকিব, জাকির হোসেন ও শাহিনুর বেগম। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জেদ্দা বিমানবন্দরে সৌদি পুলিশ তাঁদের আটক করে। পরে হাজিদের মুক্ত করে নিজে আটক হন মোয়াল্লেম জাকির।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. মোশাররফ হোসেন, দেওয়ান আবুল হাসেম ও বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থেকে সোনা চোরাচালানে জড়িত। কখনো নিজেরা, কখনো বা হাজিদের মাধ্যমে সোনা পাঠান দেশে। এবারের ঘটনায়ও সেই কৌশল ব্যবহার করা হয়।

এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মোশারফ হোসেন বলেন, আমি এবং বাবুল দুই জনে মিলে হাজীদের নামে ৬০০ গ্রাম সোনা কিনেছিলাম। আমার ২০০ গ্রাম, আর বাবুলের ৪০০ গ্রাম। হাজীদের মাধ্যমে আগেও ১০/১২ বার স্বর্ণ এনেছি। এবার সৌদি আরবের কাস্টমসে স্বর্ণ কেনার টাকার উৎস জানতে চাইলে হাজীরা বলতে না পারায় স্বর্ণ ও রিয়াল আটকে দিয়েছে। একজন মোয়াল্লেমকেও আটকে দেয়া হয়েছে। আমি বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়েছি সেই ডকুমেন্ট এবং আমার ২০০ গ্রাম স্বর্ণের ডকুমেন্ট দেখিয়েছি। কিন্ত বাবুলের স্বর্ণের কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। স্বর্ণ ও মোয়াল্লেম জাকিরকে ছাড়ানোর জন্য সৌদির এক আইনজীবীকে স্বর্ণ ও রিয়ালের আধাআধি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্ত সে রাজি হয়নি। পরে ১৫ হাজার রিয়ালে তার সাথে চুক্তি করেছি। আমি এবং বাবুলঅনেকবার এভাবে সৌদি আরব থেকে স্বর্ণ এনেছি। আগে কোন ঝামেলা হয়নি। এবার সৌদি এয়ারপোর্টে স্বর্ণ আটকে দেয়ায় ঝামেলা হয়েছে এবং বাবুল আমার নামে অভিযোগ করেছে। আমি চোরাচালানকারী হলে বাবুলও চোরাচালানকারী। আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে তার বিরুদ্ধেও নেয়া
হোক। জেলে গেলে দুজনেই যাবো।

তবে দেওয়ান আবুল হাসেমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে—সাধারণ প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত মোশাররফ ও বাবুল এত পরিমাণ সোনার মালিক হলেন কীভাবে? স্থানীয়দের ধারণা, এটি একটি বিস্তৃত সোনা চোরাচালান চক্রের অংশ, যার শাখা সৌদি আরব ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে।

ইতোমধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ চক্রটির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।

মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, পুলিশ সুপারের কাছে দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে এ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

আইন কী বলে?
বাংলাদেশের কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ অনুযায়ী, ঘোষণা ছাড়া কিংবা অনুমোদিত সীমার বাইরে স্বর্ণ আনাকে চোরাচালান হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা অনুসারে, সোনা আনতে হলে নির্ধারিত ফি ও শুল্ক পরিশোধ করে নির্ধারিত সীমার মধ্যে আনতে হবে। ঘোষণা ছাড়া বা অন্যকে ব্যবহার করে গোপনে সোনা আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও চোরাচালান প্রতিরোধ আইনে মামলার আওতায় আনা যায়।

আইনজ্ঞদের মতে, হাজিদের ব্যবহার করে সোনা আনাকে প্রতারণামূলক ও পরিকল্পিত চোরাচালান হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, যা আরও গুরুতর অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অপরাধ-দুর্নীতি করে চক্রের ঢাকা পাচার বিভাগীয় ব্যবহার সন্ধান সংবাদ সোনা হাজিদের
Related Posts
কুয়াশা

পঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা, দেখা নেই সূর্যের

December 22, 2025
বরের জুতা লুকানো

বরের জুতা লুকানোতেই তাণ্ডব! বিয়ে ভেঙে কনের বাড়িতে লুটপাট চালাল বরযাত্রীরা

December 22, 2025
বাছুর জন্ম

৬টি পা নিয়ে বাছুরের জন্ম, লাখ টাকায়ও বিক্রি না করার ঘোষণা

December 21, 2025
Latest News
কুয়াশা

পঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা, দেখা নেই সূর্যের

বরের জুতা লুকানো

বরের জুতা লুকানোতেই তাণ্ডব! বিয়ে ভেঙে কনের বাড়িতে লুটপাট চালাল বরযাত্রীরা

বাছুর জন্ম

৬টি পা নিয়ে বাছুরের জন্ম, লাখ টাকায়ও বিক্রি না করার ঘোষণা

BNP

বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুনের রহস্য এখনও অজানা

শহীদ হাদি ছিলেন আধিপত্যবাদ ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন বীর : শিবির সভাপতি

BGB

সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ, বিজিবির হাতে বিএসএফ সদস্য আটক

শীতের দাপট

কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

Visa

চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় বসতঘরে পড়েছিল কৃষকের গলাকাটা মরদেহ

চাঁদপুরে অজ্ঞাত নারী

চাঁদপুরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.