স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান সম্পর্কে যা জানা গেল

arav-khan

জুমবাংলা ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বর্ণের দোকান খোলা প্রবাসী বাংলাদেশি আরাভ খানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে। আরাভ খানের আয়েশি চালচলনে অবাক তার গ্রামের স্বজনেরা। আরাভ খানের বাবা ভাঙাড়ির ব্যবসা করতেন।

arav-khan

জানা যায়, আরাভ খানের বাবা মতিউর রহমান মোল্লা ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে ভাঙাড়ি মালামাল কেনাবেচা করতেন। তিনি বিয়ে করেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মুলাদী গ্রামে। সেখানেই স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন মতিউর। দুই মেয়ে শারমিন ও নাজনীনকে বিয়ে দিয়েছেন বাগেরহাটেই। সন্তানদের মধ্যে আরাভ সবার ছোট। ১০ বছর আগে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরন ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘর নির্মাণ করেন মতিউর। এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরের দিকে আরাভের গ্রামের বাড়ি গেলে দেখা যায়, তাদের ঘরটি মাঝারি আকারের, পাকা দেয়ালের ওপর টিনের ছাউনি। ঘর তালাবদ্ধ। তার স্বজনরা জানান, আজ ও গতকাল আরো চার-পাঁচজন লোক এসেছিলেন আরাভের খোঁজ নিতে। সবাই জানতে চান আরাভ এত টাকার মালিক কীভাবে হলেন? তারা জানান, এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানা নেই।

জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর যাতায়াত ছিল আরাভের। ওই সময়টায় মাঝেমধ্যে বাড়িতে যেতেন তিনি। দু-এক দিন থেকে আবার চলে আসতেন। তার উত্থান এলাকার কেউ জানতেন না। এমনকি তিনি কোথায় কী করছেন, কোথায় থাকেন, তাও জানতেন না। তবে আপনজনদের কেউ যদি যোগাযোগ করতেন বা কোনো সাহায্য চাইতেন, তাহলে কাউকে নিরাশ করতেন না আরাভ।

গতকাল বুধবার রাতে দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে গেছেন ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের আরো বেশ কয়েকজন তারকা। আরাভ জুয়েলার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, ওই আরাভ খানই প্রকৃতপক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রবিউল ইসলাম। চার বছর আগে ঢাকায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ভারতে চলে যান সে সময়ের ৩০ বছর বয়সী রবিউল ইসলাম। সেখানে বিয়ে করেন। পরে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। সেই পাসপোর্ট দিয়েই পাড়ি জমান দুবাইয়ে। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

টিসিবির পন্য কিনতে যাওয়া দুই নারীকে পেটালো কাউন্সিলরের পিএস