জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের শার্শায় এবার গম চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক। তাদের চোখে এখন শুধুই দিগন্ত জোড়া সবুজ দৃশ্য। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেবল সবুজের সমারহ। যে দিকে চোখ যায় কেবল সবুজ গালিচা চোখে পড়ে।
সাধারণত এ উপজেলার ২৪০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও এ বছর ছয় হেক্টর বেশি জমিতে গম চাষ হয়েছে। শার্শা উপজেলা কৃষি অফিস জানান, এ বছর শার্শা উপজেলায় গম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪০ হেক্টর জমি। তবে এবার চাষ হয়েছে ২৪৬ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হেক্টর বেশি।
গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪০ হেক্টর। গত বছরে তুলনায় এবছর ৬ হেক্টর জমিতে গমের চাষ বেশি হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে চার থেকে পাঁচ টন গম উৎপাদন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ২৪০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১২০০ টন গম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বিভিন্ন কারণে এই হিসেবের কম-বেশি হতে পারে। গম চাষের উপযোগী মাটি, অনুক‚ল পরিবেশ, কৃষি বিভাগ থেকে সুপরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান, সময় মত প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষকের মাঝে বিতরণ উপজেলার কৃষকদের মাঝে গম চাষের আগ্রহ বাড়িয়েছে।
শার্শা উপজেলার মাঠ পর্যায়ের চাষিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে আমরা সুপরামর্শ পেয়েছি। গম চাষে সার ও কীটনাশক কম লাগায় স্বল্প খরচে বেশি ফসল পাওয়ার আশা তাদের।
উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান, নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া গ্রামের কৃষক মুজিবুর রহমান, শার্শার পান্তাপাড়া গ্রামের কৃষক বজলুর রশিদসহ বেশ কয়েকজন গম চাষিরা জানান, শার্শা উপজেলার দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের উপযোগী।
সরকারি প্রণোদনায় সার ও গমের বীজ পেয়ে আমরা খুশি এবং সময়মতো জমি চাষ করতে পেরে গম চাষে ভালো ফলন পাব আশা করছি। আমরা আশা করছি, হেক্টর প্রতি ৪ থেকে ৫ টন গম উৎপাদিত হবে।
দেশে সাধারণত যেসব গমের চাষ হয় এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বারি-১৯ থেকে বারি-৩৩, বি এ ডাব্লিউ-২৪, ৩৮, ৩৯, ৪৩, ৪৫২, বি ডাব্লিউ এম আর আই-৩ জাত অন্যতম। এর মধ্যে শার্শা উপজেলায় বারি-৩০, ৩২, ৩৩ জাতের গম চাষ বেশি হয়েছে। গম চাষে গোড়া পচা, ব্লাস্ট, বীজে কালো দাগ রোগ, পাতার মরিচা রোগ, আলগা ঝুল রোগ ও পাতা ঝলসানো রোগ অন্যতম। কিন্তু কৃষি বিভাগের আন্তরিকতা ও সার্বিক সহযোগিতার কারণে কৃষকরা রোগ বালাই মুক্ত গম ঘরে তুলতে পারবে এমন আশ্বাস তাদের।
উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, গম চাষে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৬ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। দেশে খাদ্য ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে গমের আবাদ বৃদ্ধি করতে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সেই অনুযায়ী উপজেলার ৩০০ বিঘা গম চাষীকে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। প্রতি বিঘায় এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএমপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।