জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে গমের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হলেও গতবছরের এ সময়ের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে গমের দাম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ বেড়েছে, কিন্তু তা চাহিদার অনুপাতে কম। এ কারণে কৃষিপণ্যটির দাম বেড়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের গম আমদানিকারক হারু ঘোষ জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছর গমের বাজারদর খুবই চড়া। গত বছরের এ সময় গমের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৬-২৭ টাকা। বর্তমানে একই গম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা বাজারের গম ভাঙানো মিল মুকন্দ ফ্লাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকন্দ কুমার মজুমদার জানান, গমের দর বেড়েছে কেজিপ্রতি ৭-৮ টাকা করে। তার মিলে সপ্তাহে গমের চাহিদা রয়েছে ১২-১৪ হাজার কেজি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত এ স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ টন, যার মূল্য ১ হাজার ৫১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে গম আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৪ টন, যার মূল্য ছিল ৩৯৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে আমদানি গত বছরের তুলনায় অন্তত পাঁচ গুণ বেড়েছে।
আমদানিকারকরা জানান, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে গম আমদানি বেড়েছে। কিন্তু এরপরও দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। কারণ বাজারে পণ্যটির চাহিদা বেশি।
ভারত গম আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় গত মে মাসের এলসির অনুকূলে আমদানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশীয় বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় পণ্যটি আমদানি বাড়ার পাশাপাশি দামও বেড়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, আপাতত গমের নতুন এলসি বন্ধ। তবে যদ্দূর জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশসহ আরো পাঁচটি দেশে শিগগির গম রফতানি শুরু করবে ভারত সরকার।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, চলতি অর্থবছরে গম আমদানি বেড়েছে ব্যাপক হারে। তবে কৃষিপণ্যটি আমদানি করলে সরকারের কোনো রাজস্ব আয় হয় না। এটি সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৩৫ টন। এ লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে জেলায় গম চাষ হয়েছে ৮১০ হেক্টর জমিতে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, গম উৎপাদনে জেলার কৃষকদের মাঝে আগ্রহ কম। এর কারণ জেলার আবহাওয়া শস্যটি চাষের জন্য তেমন উপযোগী নয়।
সূত্র: এগ্রিকেয়ার২৪.কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।