লাইফস্টাইল ডেস্ক: সাধারণত মানুষ দু’ধরনের হয়ে থাকে, অর্ন্তমুখী ও বর্হিমুখী। অর্ন্তমুখী স্বভাবের মানুষেরা অনেক কিছু থেকেই নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখলেও প্রখর চিন্তাশীল হন। আপনি জেনে অবাক হবেন, নারীরা সাধারণত অর্ন্তমুখী চরিত্রের মানুষের প্রতি বেশি আকর্ষিত হন। এক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
কারণ অর্ন্তমুখী মানুষেরা পর্যবেক্ষণশীল, আত্মসচেতন, প্রখর চিন্তাশীল, ফোকাসড, বিশ্বস্ত, প্রকৃত সম্পর্কে আগ্রহী, লোকদের সাথে কম সময় কাটানো, ভালো শ্রোতা ইত্যাদি গুণ বা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে মনে করেন নারীরা।
নারীরা যে ১২ টি কারণে অর্ন্তমুখী পুরুষের ওপর বেশি আকর্ষিত হন :
নিরাপত্তা :
অন্তর্মুখী লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ নিজেদেরকে অন্যদের কাছে তুলে ধরার বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন। কিন্তু বর্হিমুখী লোকেরা অন্যদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার পাশাপাশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান। নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক নারী এমন একজন মানুষ চান যিনি নিজে নিরাপদ থাকবেন, তাকেও নিরাপদ রাখবেন।
সততা :
একজন অন্তর্মুখী ব্যক্তির অনেক গুণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সততা। আত্মসচেতন হওয়া, ব্যক্তিগত শক্তি এবং দুর্বলতা বোঝা, অন্যদের প্রভাবিত করার প্রয়োজন অনুভব না করা, অন্যের প্রশংসা করা ইত্যাদি বিষয়গুলো একজন অর্ন্তমুখী মানুষকে সৎ হিসেবে গড়ে তুলে। একজন ম্যাচিউরড বা পরিণত মস্তিষ্কের নারীর জন্য, সৎ প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমিক বা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক কেবল রোম্যান্সের নয়। একজন নারীর খুব ভালো বন্ধুও প্রয়োজন। ভালো বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সততা জরুরী।
ভালো শ্রোতা :
অনেকেই আছেন যারা ভালো শ্রোতা না, কেবল নিজের কথাই বলতে ভালোবোসেন। তারা ভুলে যান যে, ভালো শ্রোতা না হলে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, এর ফলে অকালেই সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। অর্ন্তমুখী লোকেরা ভালো শ্রোতা হয় থাকেন। বিষয়টা নারীদের আকর্ষণ করে খুব।
সিরিয়াসনেস :
অর্ন্তমুখী লোকেরা জীবনের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে প্রখর চিন্তাভাবনা করেন। তারা গুরুত্ব সহকারে নিজেদের লক্ষ্য ও পরিবারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। জীবন নিয়ে ‘সিরিয়াসনেস’ যাদের মধ্যে নেই, তাদের সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন নারীরা।
যোগাযোগ :
নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে সক্ষম হওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বর্হিমুখী লোকদের চেয়ে অর্ন্তমুখীরা বেশি এগিয়ে থাকেন। সম্পর্ক বিনির্মানে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনে অর্ন্তমুখী লোকেরা বর্হিমুখীদের চেয়ে পারদর্শী।
আত্ম-সচেতনতা :
অর্ন্তমুখী লোকদের আত্ম-সচেতনতার প্রতি ঝোঁক থাকে। কারণ তারা কিছু সময়ের জন্য চিন্তা করে কাটায়। কীভাবে ভালো অবস্থানে যাওয়া যায়, লক্ষ্য অর্জন করতে হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে তারা গভীরভাবে চিন্তা করেন। এটি তাদের সঙ্গীনির সাথে সহাবস্থানে সহায়তা করে।
পর্যবেক্ষণশীলতা :
অর্ন্তমুখী মানুষেরা সাধারণত পর্যবেক্ষণশীল হয়ে থাকেন। অনেক নারীই এ ধরনের পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান। বেশিরভাগ নারীই চান, তার খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে লক্ষ্য রাখুক তার সঙ্গী।
মানসম্মত সম্পর্ক স্থাপন :
মানসম্মত সম্পর্ক স্থাপনে ঝোঁপ থাকে অর্ন্তমুখী ব্যক্তিদের। এর মানে হলো-মূল্যহীন কিংবা তুচ্ছ কোনো সম্পর্কে সাধারণত জড়ান না এ ধরনের মানুষেরা। যারা সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝেন বেশিরভাগ নারীরই তাদের প্রতি আগ্রহ থাকে। কারণ, এ ধরনের পুরুষদের সঙ্গে গড়ে উঠা সম্পর্ক হয় নিরাপদ ও নিখাঁদ।
0
অল্পতেই তুষ্ট :
অর্ন্তমুখী স্বভাবের লোকেরা অল্পতে তুষ্ট বা খুশী থাকেন। সুখী হতে এ ধরনের মানুষের খুব বেশি কিছু দরকার পড়ে না। এ কারণে নারীরা অর্ন্তমুখী স্বভাবের পুরুষের ওপর আকর্ষিত হন খুব সহজেই।
বিশ্বস্ততা :
একজন অন্তর্মুখী ব্যক্তি সাধারণত বর্হিমুখী ব্যক্তির চেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য ও বিশ্বস্ত থাকেন। অন্তর্মুখী স্বাভাবের মানুষরা কোনো বিষয়ে গোপনীয়তা রাখার গুরুত্ব বুঝতে পারেন। তিনি সবাইকে সবকিছু বলে বেড়ান না।
প্রকৃত সম্পর্কে আস্থাশীলতা :
বর্হিমুখী স্বভাবের মানুষেরা সাধারণত কোনো সম্পর্ক তৈরী হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে অবহেলা করেন। সম্পর্কের বিষয়টা তারা হালকাভাবে নেন। কিন্তু অর্ন্তমুখী ব্যক্তি প্রকৃত সম্পর্ক তৈরীতেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। এই বিষয়টা অনেক নারীকেই আকর্ষণ করে থাকে।
সঙ্গীনির উন্নতির চ্যালেঞ্জ :
অর্ন্তমুখী স্বভাবের পুরুষেরা তাদের সম্পর্কের বিষয়ে যত্নশীল থাকেন। এ কারণে তারা চান তাদের সঙ্গীনিরও ব্যক্তিক, সামাজিক এবং পেশাগত উন্নতি ঘটুক। আর এই বিষয়ে তারা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পিছপা হন না কখনো।
সূত্র : পাওয়ার অব পজিটিভিটি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।