জুমবাংলা ডেস্ক : ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকায় ও দেশীয় নতুন পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রকারভেদে ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। পণ্যটির দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। সামনের দিনে পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বাড়বে, এতে দাম আরও কমে আসবে।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে অধিকাংশ দোকানেই আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ যেমন বিক্রি হচ্ছে, তেমনি দেশীয় পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৪৫ থেকে শুরু করে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা দুই দিন আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে দেশীয় পাতা পেঁয়াজ যা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। যার কারণে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের সংসার চালানো খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর দেখা যাচ্ছে, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দুই দিন আগেও বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪৫ থেকে শুরু করে ৬০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। যেটি একটু ভালো, সেটি ৬০ টাকা আর যেটি একটু নিম্ন মানের সেটি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী বাজারে পেঁয়াজের দাম কমায় আমাদের মতো মানুষদের একটু সুবিধা হয়েছে।
বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশীয় নতুন পাতা পেঁয়াজও বাজারে এসেছে। দেশীয় নতুন পেঁয়াজ ওঠার ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। যে পেঁয়াজ আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছিল, বন্দরে সেটি এখন কমে ৬০ টাকায় নেমেছে।
আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বলেন, সম্প্রতি সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে বন্দরের ছোট বড় সব আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের দাম বাড়তি ছিল। এর ফলে দেশের বাজারেও পণ্যটির দাম বাড়তির দিকে ছিল। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে করে সে দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। যার কারণে আমরাও কম দামে কিনতে পারছি।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দর দিয়ে কোনোদিন পেঁয়াজের আমদানি বাড়ছে আবার কোনোদিন কমছে। পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচা পণ্য তাই আমদানির সঙ্গে সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করলে দ্রুত ছাড়া হচ্ছে। বন্দর দিয়ে চলতি সপ্তাহের গত ৫ দিনে তিন হাজার ৭৮৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।