জুমবাংলা ডেস্ক : আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার চাইছে আমদানির প্রক্রিয়া দ্রুত হোক। এ কারণে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিনই অনুমোদনপত্র দেওয়া শুরু করার কথা জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ খুচরা দর ৩৬ টাকা বেঁধে দেওয়ার দেড় মাস পর দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানিতেই সমাধান দেখছে। পরে কৃষি মন্ত্রণালয় তাদের অনুরোধে সায় দেয়।
এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কৃষিমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আলুর দাম কম। তবুও তারা আলু আনতে চাচ্ছে, আমরা সম্মতি দিয়েছি। আজকে থেকেই আইপিও (আমদানি নীতি আদেশ) ইস্যু করা শুরু হবে।
গত বছরও আমরা আলু রপ্তানির চেষ্টা করেছি, কিছু রপ্তানি হয়েছে। এ বছরও রপ্তানি হয়েছে; কিন্তু যতটুকু রপ্তানি হয়েছে, তাতে দাম এত অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কথা না।
আমদানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতি আলু আমদানি করতে চায় তারা। আমরাও সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেখেছি, এত দাম দিয়ে মানুষ আলু কিনতে পারছে না।
তিনি বলেন, আমদানি হলে দাম কমে আসবে, এতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।
চলতি বছর আলু উঠার পর ঢাকায় ১৩ টাকা কেজি দরেও আলু পাওয়া যায়। গত রোজার পর থেকেই চড়তে থাকে দাম। কেজিপ্রতি ৪০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার এর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এই দরে হিমাগার থেকেই আলু ছাড়তে রাজি ছিলেন না ব্যবসায়ীরা।
পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন হিমাগারে অভিযানে যায়, কিন্তু সুফল মেলেনি। এক পর্যায়ে দাম ৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’কে কেন্দ্র করে হাঙ্গামার পর দলটি হরতাল ডাকলে ঢাকায় কোথাও কোথাও ৭০ টাকা কেজিতেও আলু বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়।
কয়েক মাস আগে পেঁয়াজের দাম চট করে বেড়ে কেজিপ্রতি একশ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর কৃষি মন্ত্রণালয় রান্নার উপকরণটি আমদানির অনুরোধে সায় দেয়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে থাকলে দাম অনেকটা কমেও যায়। কিন্তু পরে ভারত শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ার পর এখন আলু ও পেঁয়াজ সমানতালে দৌড়াচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে দাম স্থির করে দিয়েছিলাম, তাতেও তাদের লাভ হওয়ার কথা; কিন্তু সেই দামের ধারেকাছেও তারা থাকছে না। কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা একটি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নানা চেষ্টার কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি এমন যে কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা আলু বের করেন না, তারা আলু লুকিয়ে রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।