জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের খোলাবাজারে ডলারের দর স্থিতিশীল হয়ে আসছে। ব্যাংকের সঙ্গে কমেছে দামের ব্যবধানও। মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো বলছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনো আমদানির ঋণপত্র খোলার বাড়তি চাপ নেই।
এদিকে, প্রবাসী আয় কেনায় বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে ডলারের দর ১২০ টাকার বেশি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলোর।
চলতি মাসের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছের ২০৭ কোটি ডলার।গড়ে দৈনিক এসেছে ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যা আগের মাসের তুলনায় ২০ ভাগ বেশি। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার প্রতি দাম পাচ্ছেন ১১৯ টাকা, মিলছে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনাও। এতে খোলা বাজারে ডলার বিক্রির প্রবণতা কমেছে।
গ্রাহকরা বলছেন, ব্যাংকের রেট আগে একটু কম ছিলো, তবে এখন একটু বাড়ানোয় অনেকেই এখন ব্যাংকে ডলার বিক্রি করছেন।
এদিকে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তে ২০ আগস্ট ডলারের দর ১১৭ এর পরিবর্তে ১২০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত হয়।
ব্যাংকগুলো এখন রপ্তানি বিল ও প্রবাসী আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা কিনছে ১১৯ টাকার মধ্যে। ব্যাংকাররা বলছেন, এখনো আমদানির বাড়তি চাপ তৈরি হয়নি।
গণ অভ্যুত্থানে দেশে পট পরিবর্তন আর বাড়তি সুদহারের কারণে মূলধনী যন্ত্রের আমদানি কমেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিল্প কাঁচামালের ঋণপত্র নিস্পত্তিতেও ডলারের ঘাটতি আছে অনেক ব্যাংকে।
কেবল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানিতেই সরকারের বকেয়া ২২০ কোটি ডলার। পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও বৈদেশিক মুদ্রায় বড় অংকের বকেয়া আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।