জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ৭৯টি বাস চলাচল করবে আগামীকাল সোমবার থেকে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে কম সময়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর হয়ে উড়ালসড়ক দিয়ে তেজগাঁও-ফার্মগেট হয়ে বিভিন্ন রুটে চলবে এসব বাস। ভাড়াও নেয়া হবে বর্তমান তালিকা অনুযায়ী। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে কম সময়ে চলাচল করতে পারে তাই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাত্রী বাড়লে ভবিষ্যতে এসি বাস চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তাজুল ইসলাম।
এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (উড়ালসড়ক) প্রথম দিন ৯ ঘণ্টায় ৬ লাখ ২৯ হাজার ২৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে মোট গাড়ি চলাচল করেছে ৭৭৩৩টি।
সকাল ৬টায় খুলে দেয়া হয় স্বপ্নের এই উড়াল সড়কের বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশের সাড়ে ১১ কিলোমিটার। খুলে দেয়ার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ কিছুটা বাড়তে থাকে।
টোল প্লাজাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুড়িলে ৮৬৯টি, বিমানবন্দরে ৪৬৭৪টি, বনানিতে ৭৬৯টি এবং তেজগাঁওয়ে ১৪২১টি গাড়ি টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে।
এর আগে গতকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে যানজটের নগরীতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
প্রথম দফায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে। এই অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে ফার্মগেট আসতে সময় লাগছে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার হয়ে কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুনে কাজ শেষ করার লক্ষ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের মেইন লাইনের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিমি এবং র্যাম্পের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক শূন্য কিমি। র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ২২ দশমিক ৫ কিমি। এ অংশে ওঠানামার জন্য ১৫টি র্যাম্প (এয়ারপোর্ট-২, কুড়িল-৩, বনানী-৪, মহাখালী-৩, বিজয় সরণি-২ ও ফার্মগেট-১) রয়েছে। এরমধ্যে ১৩টি র্যাম্প যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
উড়াল সড়কটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল উড়াল সড়ক ১৯.৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প (সংযোগ সড়ক) রয়েছে। র্যাম্পসহ উড়ালসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।