জুমবাংলা ডেস্ক : অবশেষে অবসান ঘটেছে পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েত প্রবাসীদের ভোগান্তির। রোববার (১৪ মে) থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে পারছেন কুয়েত প্রবাসীরা। তথ্যগত কোন সমস্যা না থাকলে আবেদনের এক মাসের মধ্যেই প্রবাসীরা ই-পাসপোর্ট হাতে পাবেন বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
কুয়েত প্রবাসীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত এই পাসপোর্ট সেবা দিতে চলতি বছরের ২২ মার্চ বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হলেও সকল প্রস্তুতি শেষে ১৪ মে থেকে কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেছে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস। ই-পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের ইংরেজি সনদ দেখিয়ে ই-পাসপোর্ট পোর্টাল www.epassport.gov.bd এই লিংকে আবেদন করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে কোনো কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। আবেদনের সাথে সিভিল আইডি কপি এবং বর্তমান পাসপোর্ট সহ আবেদনের প্রিন্ট নিয়ে জমা দিতে পারছেন প্রবাসীরা।
প্রথম দিনে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। কুয়েত থেকে খুব সহজে ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পেরে যেমন উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা, তেমনি স্বল্প সময়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি ও আইরিশ বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে পেরে সন্তুষ্টও তারা।
কুয়েতে থেকে ১০ বছর মেয়াদের ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণভাবে একজন শ্রমিক ও ছাত্রের জন্য ফি ১৫ দিনার ৫০০ ফিলস এবং অন্য সব পেশার জন্য ৩৮ দিনার ৫০০ ফিলস ফি দিতে হবে।
আবেদনের এক মাসের মধ্যেই পাসপোর্ট পাবেন প্রবাসীরা এমন আশ্বাস দিলেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। পাসপোর্টের জন্য কোনো প্রতারকরে কাছে না গিয়ে দূতাবাসে যোগাযোগ করার আহবান জানান তিনি।
কুয়েতের আইন অনুযায়ী পাসপোর্টের মেয়াদ এক বছরের এক দিন কম হলে আকামা নবায়ন করা যায় না। কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার দাবি করে আসছিলো দীর্ঘদিন থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।