জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীবাসীর যাতায়াতে স্বস্তি এনেছে মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিদিনের যাত্রায় যে স্বস্তি ফিরেছে নগরে, সেখানেই বাড়তি পাওনা কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ। এবার চলছে প্রত্যাশা আর প্রপ্তির সেই নতুন সংযোগের কাজ।
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন সিক্সে ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে রাজধানীর কমলাপুর। প্রতিটি পিআর ভায়াডাক্টের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে। মতিঝিল থেকে এই অভিযান শুরু হয়। অন্যদিকে কমলাপুর প্রান্তে স্টেশনের দুই প্রান্তে কলামের কাজ প্রায় শেষ। সমগ্র অংশের সার্বিক অগ্রগতি ৩২টি শতাংশ।
মতিঝিল প্রান্ত থেকে এখন একে একে প্রতিটি পিআর দৃশ্যমান হচ্ছে। এই পথ ধরে একে একে একেকটি পিআরে বসানো হচ্ছে পাইল ও পাইলক্যাপ। এই প্রান্তে ৩৯টি পিআরের মধ্যে ১৯টি এখন দৃশ্যমান।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এরই মধ্যে শুরু হয়েছে মতিঝিল অংশ থেকে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ।
গণমাধ্যমকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ডিমান্ড প্ল্যানিং ম্যানেজার (ডিপিএম) মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের পিআরগুলোর আন্ডারগ্রাউন্ডের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পিআরগুলোও করেছি; স্টেশনের কাজও শুরু করেছি। এ ছাড়া পাইলক্যাপগুলোও অধিকাংশ সম্পন্ন করেছি। আমরা এখন এই পিআরের ওপর সেগমেন্ট ইরেকশন শুরু করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, কমলাপুরেও সমানতালে এগিয়ে চলছে স্টেশনের কাজ। তিতাসের সঞ্চালন লাইন অপসারণের পর এরই মধ্যে মাথা তুলতে শুরু করেছে স্টেশনের একেকটি করে কলাম। দুই পাশে ৩০টি কলামের মধ্যে ১৮টি এখন চোখের সামনে। সেক্ষেত্রে মতিঝিল থেকে ভায়াডাক্ট বসিয়ে জোড়া লাগিয়ে কমলাপুর পৌঁছাতে পৌঁছাতে হয়ে যাবে স্টেশনের কাজ।
তিনি আরও বলেন, কাজ একসঙ্গেই করতে হবে। কারণ স্টেশন অগ্রাধিকার রেয়েছে। তাই মূল স্টেশনের কলামগুলো ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। এখন সেই জায়গায় খুব জোরেসোরে আমরা পাইলক্যাপগুলো করছি। পাইলক্যাপগুলো হয়ে গেলেই কলামের কাজ হবে। ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, এই অংশের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৩২ ভাগ। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কমলাপুর পর্যন্ত কাজ ১ দশমিক ১৬ কিলোমিমিটার বর্ধিতাংশের কাজ শেষ হলেই উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে সরাসরি যাওয়া যাবে কমলাপুরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।