জুমবাংলা ডেস্ক : একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বাড়ছে। পাশাপাশি অন্যান্য ভাতা বাড়ানোরও প্রস্তাব হয়েছে। ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। সব খাতের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে অর্থবছরে (২০২৪-২৫) অতিরিক্ত দুই হাজার ৮৭০ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৃহস্পতিবারের (১৮ এপ্রিল) বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। বৃহস্পতিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওই প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমানে যে হারে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে তাতে চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে সরকারের ব্যয় হবে পাঁচ হাজার ৬৯৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা। প্রস্তাবিত হারে ভাতা বাড়লে নতুন করে দুই হাজার ৮৬৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা লাগবে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানি বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করার কথা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসব ভাতা ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার টাকা হারে বিজয় দিবসের বিশেষ ভাতা দেয়া হয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এ ভাতা দ্বিগুণ হবে। এছাড়া স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনও বিশেষ ভাতা দেয়া হয় না। নতুন করে এ দিবসে ১০ হাজার টাকা হারে ভাতা দেয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের ওয়ারিশ মিলে মোট উপকারভোগী দুই লাখ ১২ হাজার ৫৮৫ জনকে ২০০০ টাকা হারে চলতি অর্থবছরে নববর্ষ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত রয়েছে। আগামী অর্থবছরে তা ৫ হাজার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন প্রস্তাবে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরও সম্মানি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বীর উত্তমদের ৪০ হাজার, বীর বিক্রম ৩৫ হাজার ও বীর প্রতীক ৩০ হাজার টাকা মাসিক সম্মানি প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাটাগরি ভিত্তিতে ২৭ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা সম্মানি পান। নতুন প্রস্তাবে সম্মানি বাড়িয়ে ক্যাটাগরি ভিত্তিতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া দাফন, সৎকার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লাশ পরিবহনের ব্যয় বাবদ সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা দেয়া হয়। এ খাতে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে এখনই গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহীদ পরিবার এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।