জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেট অঞ্চলের মাটির নীচ থেকে অনেক ভালো খবর আসছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীর মোন্দিবাগে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের হলরুমে ‘শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার আওতায় অংশীজনের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিলেট হলো পূণ্যভূমি। এখানকার গ্যাস ও তেল জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে সিলেটে আরও নতুন কূপের সন্ধান মিলবে, এখানে নতুন কূপ খননও চলছে।
মতবিনিময় সভায় পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সহকারী ব্যবস্থাপক ফারজানা রহমানের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও আইসিটি) প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ সাহা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. হাফিজুর রহমান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মনজুর আহমদ চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় জানান, শিল্প-কলকারখানা, সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব না। আমাদের গ্যাস কিন্তু সীমিত। এজন্য শিল্পকে গ্যাস দিয়ে উৎপাদন বাড়ানো আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কারণ শিল্পের সঙ্গে হাজার-হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। তাই আপাতত আবাসিক সংযোগ বা পাম্পে গ্যাসের লোড বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে সিলেটের সিএনজি মালিক সমিতির দাবির বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। প্রিপেইড মিটারে গ্রাহকদেরও লাভ হবে, যতটুকু ব্যবহার করবেন তার বিল দিতে হবে। সরকার আবাসিক গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে এ খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, প্রিপেইড মিটারে গ্রাহক বেশি গ্যাস ব্যবহার করলে বেশি বিল দেবেন; এতে করে পেট্রোবাংলারও লাভ হবে। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম সারা দেশের মধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠান। জালালাবাদ গ্যাসের কোনো অবৈধ সংযোগ নেই। জালালাবাদ গ্যাসের কার্যক্রমে গ্রাহকরাও খুশি। আমি আশা করি, জালালাবাদ গ্যাস তাদের সাফল্য ধরে রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।