জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। তবে আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়- বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আজ শনিবারও অব্যাহত থাকবে। সেইসঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অনুভূত হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে ঘাম শুকায় না। ফলে এতে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকাতেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যখন যে এলাকায় বৃষ্টি হবে, তখন সাময়িকভাবে সে এলাকায় কিছুটা তাপমাত্রা কমবে। বৃষ্টি বন্ধ হলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বাতাস ঊর্ধ্বমুখী থাকলে জলীয় বাষ্প ওপরে উঠে যায়। আর যেসব অঞ্চলের বাতাস ঊর্ধ্বমুখী নয়, সেসব অঞ্চলে জলীয় বাষ্প থেকে যাচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি হচ্ছে।
এদিকে, রবিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে উল্লেখিত সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পাঁচ দিনের বর্ধিত আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে সারাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।