জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতি লিটার ১০ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
সয়াবিন তেলের দাম কমানো নিয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বাজার মূল্য রমজানে প্রতি এক লিটারের বোতল ১৬৩ টাকা করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আগে এর মূল্য ছিল ১৭৩ টাকা এবং তার আগের বছরে ১৮৫ টাকার মতো ছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু তেলের সঙ্গে অনেক কিছু সম্পৃক্ত, সেহেতু এতে ভোক্তা পর্যায়ে একটি স্বস্তি বাজারে আসবে এবং খুচরায় আমরা যৌক্তিক পর্যায়ে দাম কমিয়ে আনব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি খোলা সয়াবিনের সর্বোচ্চ মূল্য থাকবে ১৪৯ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি হবে। আমরা আশা করছি, এতে আমাদের ভোক্তা সাধারণ উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, আমাদের যারা ব্যবসায়ী আছেন বিভিন্ন পর্যায়ের তারা এইটুকু নিশ্চিত করেছেন যে আগামী রমজানে যে পরিমাণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাজারে থাকা দরকার বা মজুর থাকা দরকার বা পাইপলাইনে থাকা দরকার, সবগুলোই মোটামুটি পর্যাপ্ত আছে।
পাম তেলের বিষয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, একটি বিষয় জানিয়ে রাখা দরকার এই প্রথম আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেলের দাম সয়াবিনের থেকে বেশি। সুতরাং, এটি যদি আমরা এখন পুনঃনির্ধারণ করতে যাই, সেটি ভোক্তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১ মার্চ থেকে দাম কার্যকর হবে। আমাদের এই ট্যারিফ ১৫ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এরপর আমরা বসে প্রতি মাসে যেমন তেলের দাম আমাদের ট্যারিফ ঠিক করে, প্রতিমাসে আমাদের যারা মিলমালিক আছে তাদের সঙ্গে বসে দাম রেগুলার বেসিসে পুনঃনির্ধারণ করে দেব। কারণ আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি ব্যবসা না করতে পারে তাহলে পণ্যের সরবরাহে সংকট দেখা দেবে।
এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, আমদানি শুল্ক কমায় আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশের বাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।
তেল-চিনির মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তেল এবং চিনির মূল্য আমাদের ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দেয়। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমদানিকারক এবং উৎপাদকদের সঙ্গে বসে যৌক্তিক পর্যায়ে নতুন শুল্কের প্রভাব অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দেব। রমজান উপলক্ষে সেই দামেই বাজারে বিক্রি হবে।’
পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম বলেন, বাকি পণ্যগুলোর ইন্ডিকেটিভ (নির্দেশক) মূল্য, সেটিও ২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় টাস্কফোর্সের যে বৈঠক আছে, সেই কমিটিতে বসে পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
তিনি জানান, ‘আমাদের সবকিছু রমজানকে কেন্দ্র করে। রমজান শুরু হবে ১১ মার্চ। বাকি সময়টা আমাদের প্রস্তুতির জন্য। আমরা চেষ্টা করব বৈঠকে একটা দামও নির্ধারণ করতে। যে তারিখে কারখানা থেকে তেল বের হবে, সেই তেলের বোতলে নতুন মূল্য মার্ক করা থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।