জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি বছর রাজশাহীর বাঘায় হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিমণ কাঁচা হলুদ বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৭৫০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত। বিঘাপ্রতি সার ও বীজসহ ৮০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচে আয় হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা।
কৃষিবিভাগের সূত্রমতে উপজেলায় আট হাজার ৩০০ টন হলুদ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে । পাবনা, গাঙ্গীয়া, সোনামুখী, ডিমলা বারী-১ প্রভৃতি জাতের হলুদ চাষ হয়েছে। এ বছর গাঙ্গীয়া জাতের হলুদ ফলন ভালো হয়েছে। এ জাতের হলুদটি আকারে মোটা এবং রঙ অন্যান্য হলুদের তুলনায় ভালো। প্রতিবিঘা জমিতে ৫০-৫৫ মণ উৎপাদন হয়।
হলুদচাষি জহুরুল ইসলাম জানান, এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে হলুদের চাষ করে ১০০ মণ হলুদ পেয়েছেন। বাজারে দাম ভাল আছে। এরকম দাম থাকলে সামনের বছর হলুদ চাষের জমি বৃদ্ধি করবেন বলেও তিনি জানান।
হলুদ ব্যবসায়ী একরামুল হক জানান, আড়ানীর হলুদের সুনাম দেশব্যাপী রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার হাটে হলুদ কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়।
আড়ানীর চাতাল ব্যবসায়ী রহমান বাবলু বলেন, উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক চাতাল রয়েছে। কাঁচাহলুদ কিনে সিদ্ধ করে শুকিয়ে কিছু দিন ঘরে রেখে বিক্রি করি। বর্তমানে ৪০ কেজি শুকনা হলুদ তিন হাজার ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, জেলার মাটি ও আবহাওয়া হলুদ চাষের জন্য উপযোগী। চলতি বছর হলুদের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হয়েছে। এছাড়াও চাষিরা বাজারে হলুদের ভাল দাম পাচ্ছেন। কাঁচা হলুদের থেকে শুকনা হলুদের দাম অনেক বেশি। আগামী বছর হলুদ চাষের আওতা আরও বাড়বে বলেও তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।