জুমবাংলা ডেস্ক : ২০২০ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশকে যে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে আসছিল, তা হঠাৎ করেই বাতিল করা হয়েছে। এই সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা দিল্লি, কলকাতা ও ব্যাঙ্গালোর বিমানবন্দর ব্যবহার করে ইউরোপে পণ্য রপ্তানি করতে পারতেন। মাসে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক, জুতা ও গহনা, ভারতের বিমানবন্দর থেকে কম খরচে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছিল। কিন্তু কোনো পূর্বসতর্কতা ছাড়াই ভারতের মোদি সরকার এই সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সরকার নিজস্ব বিমানবন্দর থেকে পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা শক্তিশালী করে এই সংকট দ্রুত কাটিয়ে উঠব।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত বাড়তি শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা এটিকে একটি ইতিবাচক খবর হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, এটি বাংলাদেশের বাণিজ্য পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের (ইউএসটিআর) সঙ্গে অনলাইন আলোচনা হয়েছে এবং শীঘ্রই একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবে বলেও জানানো হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে ভারতের ট্রানজিট সুবিধা হারানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও সরকার বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক সংকট নিরসনের চেষ্টাও চলছে, যা দেশের বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।