বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্লে স্টোর থেকে আরও ১০টি অ্যাপ সরিয়ে নিয়েছে গুগল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, এসব অ্যাপ ভারতীয় ডেভেলপারদের বানানো। এ নিয়ে সোমবার বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন ভারতের প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী অশ্বিনি বৈষ্ণব। তাতে গুগলের প্রতিনিধিদের আসার অনুরোধ করা হয়েছে। থাকবেন অ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও।
পরিষেবার পেমেন্ট না মেটানোর কারণে ভারতীয় অ্যাপগুলোকে গত শুক্রবার প্লে স্টোর থেকে সরানো হয়েছে বলে জানায় গুগল। মোট ১০টি অ্যাপকে সেখান থেকে সরিয়েছে আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে গুগলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভারতীয় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো।
যদিও গুগলের দাবি, ওই পেমেন্ট তাদের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবস্থা ও প্লে স্টোরের সহায়ক পরিবেশ গড়তে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ওই প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চ থেকে উপকৃত হলেও পেমেন্ট করেনি।
গুগল বলছে, বর্তমানে প্লে স্টোরের সঙ্গে দুই লাখের বেশি ভারতীয় ডেভেলপার যুক্ত। তারা প্রত্যেকেই পলিসি মেনে চলে। নিরাপদ প্ল্যাটফর্মের নিশ্চয়তা দিতেই এই পলিসি মেনে চলতে বলা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময় দেওয়ার পরও ১০টি কোম্পানি প্লে স্টোরকে কোনো বকেয়া অর্থ দেয়নি।
এই ডেভেলপারদের তিন বছরের বেশি সময় দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় গুগল। সেই কারণেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সরিয়ে দেওয়া অ্যাপগুলোর নাম প্রকাশ না করলেও এদের মধ্যে নকরি, শাদি, ম্যাট্রিমনি ডটকম, ভারত ম্যাট্রিমনি, অডিয়ো অ্যাপ কুকু এফএম ও দু’একটি ডেটিং অ্যাপ রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় আরেক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
এর আগে গুগলের ১৫%-৩০% পর্যন্ত পেমেন্ট কাঠামো বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এ সংক্রান্ত মামলায় মাসুল আরোপ করা এবং তা না দিলে অ্যাপ সরানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টসহ দুটি আদালতের সম্মতি পায় গুগল। কিন্তু তারা ১১%-২৬% মাসুল চাপানোর পরে তা বন্ধ করাতে উদ্যোগী হয় কিছু ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থা। তাদের দাবি, একচেটিয়া আধিপত্যের সুযোগে অ্যাপ ব্যবহারের টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিজেদের পদ্ধতিই মানতে সংস্থাগুলোকে বাধ্য করে গুগল।
এ নিয়ে ভারতের প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী অশ্বিনি বৈষ্ণব বলেন, ‘আমি আশা করছি এ ব্যাপারে গুগল আরও ভাববে। আমাদের স্টার্টআপ সিস্টেম দীর্ঘদিনের। তাদের আবদার মেনে নেওয়া যেতে পারে। এরই মধ্যে আমি গুগলকে জানিয়েছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।