আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নারীর শরীরে গোপনীয়ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সংযুক্ত করার অভিযোগে ডেনমার্কের সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে গ্রিনল্যান্ডের ৬৭ জন নারীর একটি দল।
জানা যায়, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে জন্মহার সীমিত করার লক্ষ্যে কিছু কিশোরীসহ সাড়ে চার হাজার নারীর শরীরে বিশেষ ধরনের কয়েল (আইইউডি) লাগিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কাজটি ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে, কিন্তু ভুক্তভোগী নারীরা, যাদের অনেকের বয়স এখন ৭০ এর বেশি তারা এখনই ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গ্রিনল্যান্ড বর্তমানে ডেনমার্কের একটি আধা-সার্বভৌম অঞ্চল যা ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ডেনিশ উপনিবেশ ছিল। দেশটির ন্যাশনাল আর্কাইভের রেকর্ডে দেখা গেছে যে, শুধুমাত্র ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে সাড়ে চার হাজারটি অন্তঃসত্ত্বারোধী ডিভাইস (আইইউডি) নারীদের শরীরে গোপনভাবে লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। ১৩ বছরের কম বয়সী কিশোরীদের শরীরেও তাদের সম্মতি ছাড়া বা তাদের না জানিয়েই এই ডিভাইস সংযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি ডেনিশ গণমাধ্যম ডিআর-এর একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
একজন নারী ২০০৯ সালে যখন গর্ভবতী হওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন সেই সময় তার শরীরে ডিভাইসটি শনাক্ত করা হয়। আরেক নারী বিবিসিকে ২০১৪ সালে জানিয়েছেন, কোনো রকমের অনুমতি ছাড়াই তার শরীরে একটি গর্ভনিরোধক ডিভাইস লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এমন অভিযোগ তদন্তে ডেনিশ এবং গ্রিনল্যান্ড সরকার যৌথভাবে একটি কমিশন গঠন করে যার প্রতিবেদন দেয়ার দিনক্ষণ ঠিক করা হয় ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত।
তবে এই ৬৭ বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের একজন মনোবিজ্ঞানী নাজা লিবার্থ দাবি করেন, ‘আমরা তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে চাই না।’ তিনিই প্রথম এমন ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক, যাদের ১৯৬০ এর দশকে আইইউডি ঢোকানো হয়েছিল, তারা সাধারণত ১৯৪০ এর দশকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং এদের সবারই বয়স ৮০ বছরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমরা এখনই ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’ এ বিষয়ে গত বছর ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে ছয়জনকে ক্ষতিপূরণ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।