লাইফস্টাইল ডেস্ক : এক কাপ গরম কফির ‘মাহাত্ম্য’ সম্পর্কে কমবেশি সবাই ওয়াকিবহাল। কিন্তু কোল্ড কফিতে অনেকেই ভরসা পায় না। তাই বলে কি শীতল কফিতে কোনো উপকার নেই? গবেষণায় দেখে গেছে, কফির স্বাস্থ্যগুণের সঙ্গে তাপমাত্রার কোনো সম্পর্ক নেই। এর বিপরীতে গ্রহণযোগ্য কিছু মেলেনি।
কাজেই ‘হট’ কিংবা ‘কোল্ড’ সমান উপকারী। কফির গ্রহণযোগ্যতার পেছনে আছে তার পলিফেনল, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব বায়ো-অ্যাকটিভ উপাদানের অস্তিত্বই কফিকে অনন্য পানীয়তে পরিণত করেছে।
সবাই জানে কফির গুণ
এই পানীয় পানের পেছনে অসংখ্য লোভনীয় কারণ দেখানো যায়। কফি পানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস করে উল্লেখযোগ্য হারে। এর সবচেয়ে বিস্ময়কর গুণটি হলো—‘আয়ু বাড়ায়’। বিষণ্নতা দূরীকরণ এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কফি ওস্তাদ। এমন আরো বহু গবেষণালব্ধ তথ্য রয়েছে। আর এসব গুণ তাপমাত্রায় এদিক-সেদিক হয় না।
কোল্ড কফিতেই…
এই ঠাণ্ডা কফি নিয়ে বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, কোল্ড কফি তাদের জন্য বেশি উপকারী। ঠাণ্ডা অবস্থায় বৈশিষ্ট্যগতভাবেই কফির এসিডিটি ৬৭ শতাংশ কমে আসে। তাই এটা হজমের জন্য গরমের চেয়ে আরো ভালো। এ ছাড়া যারা গ্রীষ্মে অন্যদের তুলনায় বেশি পেরেশানিতে থাকে, তারাও শীতল কফি পানে দেহ জুড়িয়ে নিতে পারে। কোল্ড কফিতে ক্যাফেইন কনসেন্ট্রেশন উচ্চমাত্রায় থাকে।
ইন্ডিয়া টাইমস অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।