লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বের অনেক দেশের মানুষই এখন গরমে হাঁসফাঁস করছে ৷ ইউরোপও পুড়ছে দাবদাহে ৷ এই সময়ে কী করে এবং না করে, কী কী খেয়ে আর কী কী না খেয়ে একটু ভালো থাকা যায় জেনে নিন..
> বেশি ঝাল দিয়ে সবজি খেতে পারেন। কারণ মরিচে থাকা ক্যাপস্টাসিন দেহে এমন এক অবস্থা তৈরি করে যা দেখে মস্তিষ্ক মনে করে, শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত খুব বেড়ে যাচ্ছে, তাই সঙ্গে সঙ্গে সে ঘামগ্রন্থিগুলোকে বার্তা পাঠায়, অমনি গ্রন্থিগুলো ত্বকের ঘাম বাষ্পীভূত করতে থাকে দ্রুত, আর ঘাম শুকালে শরীরে কেমন একটা শীতল অনুভূতি আসে।
> চীনে গরমে দেহকে উষ্ণ এবং শীতল করে- এমন দুই ধরনের খাবার সমানভাবে খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। চীনারা বলেন, ইয়িন (ঠাণ্ডা) আর ইয়াং (গরম জিনিস) একসঙ্গে খাও, গায়ে শক্তি পাবে।
> গরমে লেবুর রসও খুব উপকারী। তাই ভারতে দাবদাহে ‘নিম্বু পানি’ খাওয়ার ধুম পড়ে যায়, বাংলাদেশের মানুষের শরীরেও প্রশান্তি আনে লেবুর শরবত। গরমে লেবুর কদর আসলে বিশ্বজোড়া ৷
> যেসব দেশে বিয়ার প্রায় পানির মতো পান করা হয়, গরমে সেসব দেশেও বিয়ার বিক্রি অনেক কমে যায় ৷ কারণ, বিজ্ঞানীরা বলেন, গরমে যত কম অ্যালকোহল ততই মঙ্গল, বিয়ার খেলেও ‘পরিমানমতো’ খাওয়াই ভালো ৷
> গরমে হাল্কা রংয়ের কাপড় পরতে হয় ৷ কিন্তু সেই কাপড়ই যদি খুব আঁটোসাঁটো হয়, তাহলে আর আরাম লাগবে না। তাই একটু ঢোলা কাপড় পরাই ভালো। এমনকি গরমে স্লিভলেস জামা পরারও কোনো দরকার নেই। বরং ফুলহাতা জামা গায়ে দিয়ে ত্বককে রোদের হাত থেকে একটু বাঁচান৷ আর হ্যাঁ, সুতি বা লিনেনের কাপড়ও গরমে পরতে খুব আারাম ৷
> ইউরোপের মানুষ গ্রীষ্মের গরমে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চার দেয়ালের ভেতরে থাকে। কারণ ওই সময় ছাতা নিয়ে বের হলেও গরমে হাঁসফাঁস করতে হবে ৷ তবে আজকাল অবশ্য এমন ছাতাও বাজারে এসেছে, যাতে তাপ প্রতিফলিত হয়ে দূরে সরে যায়।
> বিদ্যুৎ যেখানে নেই, এসি চলছে না বা মাথার ওপরে যেখানে ফ্যানও ঘুরছে না, তেমন পরিবেশে হাতপাখার ব্যবহার সব দেশের মানুষই করে থাকেন ৷ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই এখন জ্বালানি সংকট প্রকট ৷ তাই এই দাবদাহে হাতপাখার ব্যবহার স্বাভাবিক কারণেই বেড়েছে ৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।