সোয়াদ সাদমান : চট্টগ্রামে কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে স্নান করতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কে এম সাদমান রহমান সাবাব নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বাকি দুই শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান। ঘটনার পর পরই নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের সঙ্গে সমন্বয় করে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
নিহত সাদমান রহমানের বাড়ি ঢাকার মিরপুরে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। বাকি দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাড়ি বগুড়ায়। তিন জনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ সোহাইব বলেন, মোট পাঁচজন শিক্ষার্থী কক্সবাজারে গিয়েছিল। এর মধ্যে চার জন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের। আর বাকি একজন আরবি ডিপার্টমেন্টের। পাঁচজনের মধ্যে দুইজন বেঁচে আছে। আর বাকি তিনজনের মধ্যে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। বর্তমানে উদ্ধার কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, আবহাওয়া খুব খারাপ হওয়াতে নিখোঁজ দুই জনের উদ্ধার কাজটা ভালোভাবে করা যাচ্ছে না। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের ফুল ফোর্স নিয়ে রেডি আছে।
এ বিষয়ে উদ্ধার কাজে ঘটনাস্থলে প্রেরিত বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী প্রক্টর এবং ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সাইদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সমুদ্র খুবই উত্তাল তাই স্মুথলি উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এবং প্রত্যেকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তারা ঘটনাস্থলে আসছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিরূপ আবহাওয়াতেই কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশেষ দল নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিখোঁজদের দ্রুত উদ্ধারে সক্রিয় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।