আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ৪০০ মাইল দীর্ঘ একটি ফানেলের খোঁজ মিলেছে, যা এক বিপুল শক্তির উৎস হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই শক্তি পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিজের দিকে টেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে একটি শক্তিশালী বল কাজ করছে, যা ধীরে ধীরে আশেপাশের সবকিছুকে নিজের দিকে টানছে। এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছে এক বিশাল আকৃতির ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ। এটি ধীরে ধীরে পৃথিবীর ওপরের স্তরের বিভিন্ন বস্তুকে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, একটি টেকটনিক প্লেট এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। এর ফলে বাইরের সমস্ত উপাদান ধীরে ধীরে সেই শক্তির দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। উত্তর আমেরিকার নিকটবর্তী এই ঘটনায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না, কত সময়ের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।
আবিষ্কৃত সুড়ঙ্গটি দেখতে এমনই যে, প্রতিদিনই যেন এটি তার চারপাশের সবকিছুকে নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে। সেখানে পৌঁছালেই এক ধরণের অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করা যাচ্ছে।
মিশিগান থেকে শুরু করে আলাবামা পর্যন্ত বিস্তৃত এই সুড়ঙ্গের পরিধি প্রায় ৪০০ মাইল। গবেষণা বলছে, এই অঞ্চলজুড়ে সবকিছু ধীরে ধীরে নিচের দিকে ধ্বস নামছে। যেন এক অজানা শক্তি সবাইকে টেনে নিয়ে চলেছে।
এটি অনেকটা একটি বিশাল গহ্বর বা গভীর গর্তের মতো। যতই কেউ কাছে যাচ্ছে, টান ততই বাড়ছে। আশেপাশের মাটিও ধীরে ধীরে এই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করছে। ফলে ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
তাদের মতে, এই ভূগর্ভস্থ পরিবর্তন আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে এবং বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। মনে করা হচ্ছে, সুড়ঙ্গের গভীরে একটি বিশাল প্লেট তার অবস্থান পরিবর্তন করছে, যা ভূতাত্ত্বিকভাবে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে এক রহস্যময় শক্তির মতো এই সুড়ঙ্গ আশেপাশের সবকিছু টেনে নিচ্ছে।
এই প্রক্রিয়া যদি চলতেই থাকে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সুড়ঙ্গটির গভীরতা ও পরিধি দুটোই বাড়বে। এতে ভূত্বকের গঠন প্রক্রিয়ায়ও বড় পরিবর্তন আসতে পারে, যা পরিবেশগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।