জুমবাংলা ডেস্ক : চাকরিজীবীদের জন্য আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হচ্ছে নতুন শ্রম আইন। কর্মচারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই শ্রম আইনে আনা হচ্ছে পরিবর্তন। যা চাকরিজীবীদের সামাজিক ও চাকরি জীবনের মধ্যে ব্যালেন্সকে আরো ভালো করে গড়ে তুলবে।
শ্রম আইন পরিবর্তনের পর তা কার্যকর হলে কর্মচারীরা ৩০ দিনের বেশি ছুটি থাকলে কোম্পানি থেকে সেই অতিরিক্ত ছুটির জন্য টাকা পাবেন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নতুন পরিকল্পনায় ৩০ দিনের বেশি ছুটি যদি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে থাকে, তবে অতিরিক্ত ছুটির জন্য কোম্পানি ওই কর্মীকে অতিরিক্ত টাকা দেবে।
ইকোনমিক টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালের কাজের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য ও কাজের অবস্থা সংক্রান্ত বিধি আইনে একজন কর্মীর একটি ক্যালেন্ডার বছরে ৩০ দিনের বেশি বেতনের ছুটি থাকা উচিত নয়। যদি কর্মচারীর ৩০ দিনের বেশি বেতনের ছুটি থাকে, তাহলে কোম্পানিকে ৩০ দিনের বেশি ছুটিতে অতিরিক্ত টাকা কর্মচারীদের দিতেই হবে।
মনে করা হচ্ছে, কর্মচারীরা যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছুটি পায় এবং তাদের ওয়ার্ক লাইফ ব্য়ালেন্স যাতে স্বাভাবিক হয় সেই কারণেই এই নিয়ম আনছে সরকার।
এদিকে, বহুদিন ধরেই ভারতে শ্রমবিধির নিয়ম কার্যকর করার দাবি উঠেছে। তবে কেন্দ্রের এই নিয়ম যাতে রাজ্যগুলোতেও কার্যকর করা হয়, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এই নিয়ম কার্যকর হলে সারাদেশে তা সমানভাবে কার্যকর করা হবে।
নতুন শ্রম আইনের আওতায় একাধিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ৩০ দিনের অতিরিক্ত ছুটির পর টাকা দেওয়া ছাড়াও কর্মচারীদের কাজের সময়েও আসবে পরিবর্তন। মনে করা হচ্ছে, এই নিয়ম কার্যকর হলে কর্মচারীরা প্রতি সপ্তাহে দুই দিনের পরিবর্তে তিন দিনের ছুটি পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে কাজের সময় বৃদ্ধি পাবে।
এ ছাড়া নয়া শ্রম আইনের আওতায় টেক হোম স্যালারির উপরও প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আইনের আওতায়, কর্মীদের বেসিক স্য়ালারি হবে গ্রস স্যালারির ৫০ শতাংশ। প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত কর্মচারীদের টেক হোম স্যালারি কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।