জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১তম গভর্নর হিসেবে টানা ৬ বছর ৩ মাস দায়িত্ব পালন করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন সদ্যবিদায়ী ফজলে কবির। দেশের ইতিহাসে এর আগে এত সময় কেউ গভর্নর পদে থাকেননি।
প্রথম দফায় ৪ বছর, দ্বিতীয় দফায় ৩ মাস ১৩ দিন এবং তৃতীয় দফায় এক বছর ১১ মাস ১৫ দিন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সোমবার তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আবদুর রউফ তালুকদার।
ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নিয়েছেন। দেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রউফ।
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। এর পরদিন ১৬ মার্চ সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য গভর্নর পদে নিয়োগ দেয় সরকার।
২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকে ১১তম গভর্নর হিসেবে যোগ দেন ফজলে কবির। সে হিসাবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৯ মার্চ। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩৪ দিন আগে ওই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ আরও ৩ মাস ১৩ দিন বৃদ্ধি করে সরকার, যা ওই বছর ৩ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল।ওই সময় এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি গভর্নর থাকবেন।
পরে গভর্নর পদের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ৬৭ বছর বয়স করে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার সংশোধন করা হয়। ফলে ফজলে কবিরের গভর্নর পদের মেয়াদও ২০২২ সালের ৩ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।