জুম-বাংলা ডেস্ক : কোলেস্টেরলের ভয়ে অনেকেই ডিম খান না৷ প্রচলিত সেই ধারণাকেই কাজে লাগালেন হার্ভার্ডের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী। তবে ফল পেলেন উল্টো।
নিক নরউইটজ নামে ওই ছাত্র দেখতে চেয়েছিলেন লাগামছাড়া এক মাস ডিম খেলে তার ফল কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে৷ নিজের ভাবনামতো তিনি এক মাসে ৭০০ থেকে ৭২০ টি ডিম খান৷
গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৪টি ডিম খেতেন নিক৷ প্রতি ঘণ্টায় একটি করে ডিম খেতেন এবং এভাবেই ২৪টি ডিম তার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের অংশ হয়ে ওঠে।
ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়েছেন তার নিজের উপর করা পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা। সেই পরীক্ষার ফল অভাবনীয় বলে জানান হার্ভার্ডের এই শিক্ষার্থী।
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া তো দূরের কথা, উল্টো মাসে ৭০০ ডিমের ডায়েটে নিকের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমে গিয়েছে ২০ শতাংশ৷ প্রথম সপ্তাহে ২ শতাংশ এবং তার পরের ৩ সপ্তাহে এলডিএল কমেছে আরও ১৮ শতাংশ৷
এই পিএইচডি ছাত্র ডিমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেয়েছেন তাজা ফল৷ ডায়েটে ছিল ব্লুবেরি, কলা এবং স্ট্রবেরি৷ গবেষণারত ছাত্রের মতে অতিরিক্ত কার্বসের ফলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ এছাড়াও ডায়েটরি কোলেস্টেরলের মধ্যে তার ডায়েটে ছিল ৭৫ গ্রাম স্যাচিওরেটেড ফ্যাট৷
বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা মতে, ডায়েটরি কোলেস্টেরলের প্রভাবে চোলেজন হরমোনের যোগান বেড়ে যায় শরীরে৷ পরে সেটা লিভারে কোনো এক গ্রহীতা বা রিসেপ্টরের সঙ্গে মিশে শরীরে ভালো ও খারাপ কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে৷
এ ছাড়া গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা যদি সপ্তাহে ১২টি ডিম খান, তাহলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বা হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়বে না। বরং শরীরে এইচএলডি অর্থাৎ ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।