লাইফস্টাইল ডেস্ক : রাতে খাবার খাওয়ার পরেও অনেকেই আছেন যাদের রাত গড়াতেই আবার খিদে পেয়ে যায়। অনিদ্রা বা ঘুম না আসার সমস্যায় ভুগলেই মূলত রাতে খিদে বেশি পায়। মধ্যরাতে খিদে পাওয়ার এই প্রবণতা হালকা ভাবে নিয়ে থাকেন অনেকে। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি এক ধরনের শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘নাইট ইটিং ডিসঅর্ডার’(এনইডি)।
প্রায় একশ জনের মধ্যে একজন এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। নাইট ইটিং ডিসঅর্ডারের কারণে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী অসুখ হতে পারে। যাদের ওজন বেশি তাদের ওজন কমানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বেশি ওজন, দিনে কম ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া বা পরিবারে কারও এই সমস্যা থাকলে নাইট ইটিং ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
লক্ষণগুলো কী কী
* প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত দুদিন রাতে উঠে কিছু খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
* রাতের খাবার খাওয়ার এবং ঘুমিয়ে পড়ার মধ্যে বারে বারে খিদে পেতে পারে।
* দীর্ঘদিন ধরে অনিদ্রার সমস্যা।
* সকালে ঘুম থেকে উঠার পর নাস্তা খেতে গেলে খিদে কমে যাওয়া।
মেয়েকে দিনে মা ডাকে রাতে বিছানায় যাবার প্রস্তাব দিত মহেশ ভাট
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন
যান্ত্রিক জীবনে নানা টানাপোড়েন, ক্যারিয়ারের দুশ্চিন্তার মাঝে বিছানায় শুয়েই ঘুমিয়ে পড়েন, এমন ভাগ্যবানদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। রাতে জেগে থাকার ফলে খিদে পাওয়ার প্রবণতা বেশি তৈরি হয়। কোনো বিষয় নিয়ে অত্যধিক চিন্তা করা, মানসিক উদ্বেগ ঘুম না আসার অন্যতম কারণ। তাই রাতে খাওয়ার পর ঘুমনোর আগে মন শান্ত করতে কিছুক্ষণ ধ্যানে বসুন। মন ও মস্তিষ্ক দুই-ই স্থির হবে। এতে ঘুম না আসা বা বারে বারে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যা কমতে পারে। আর ভালো ঘুম হলে রাতে আর খিদে পাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।