জুমবাংলা ডেস্ক : গভর্নরের অবর্তমানে প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ডেপুটি গভর্নরদের দায়িত্ব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উপস্থিত না হয়েই সেই দায়িত্ব পালন করছেন তারা। কর্মকর্তাদের ক্ষোভের মুখে গত ৭ আগস্ট দেওয়া পদত্যাগ পত্র অকার্যকর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, গভর্নরের অবর্তমানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি গভর্নরগণ। তবে গভর্নরের কাছে আসা ডাক বা চিঠিগুলো বণ্টন করবেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফছানা বিলকিস বলেন, ‘গভর্নর পদত্যাগ করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ডেপুটি গভর্নরদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাবে।’
২০২৩ সালের ২ জুলাই তিনি ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব নেন।
ডেপুটি গভর্নর পদে যোগ দেওয়ার আগে নূরুন নাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি ১৯৮৯ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তিনি নির্বাহী পরিচালক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগের আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ক্রেডিট গ্যারান্টি ডিপার্টমেন্ট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
চাকরি জীবনে তিনি ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট, পূর্বতন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম ও রাজশাহী অফিসে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।