আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রাহকদের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সপরিবারে পালিয়ে যাওয়া সাতক্ষীরার প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাস ভারতের জেলে রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানা এলাকায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। পরদিন সোমবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত আদালত। বর্তমানে প্রাণনাথ দাস কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন দমদম সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এসটিএফের তথ্যমতে, ভারতে আগে থেকেই নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ভুয়া ভারতীয় নথি তৈরি করে রেখেছিলেন প্রাণনাথ। গ্রাহকদের আত্মসাৎ করা অর্থে কলকাতার নিউ টাউনে কয়েক কোটি টাকায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন তিনি। এরপর নিউটাউনের সেই বাড়িতে উঠেন।
এসটিএফের দাবি, রোববার বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন প্রাণনাথ। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাণনাথ দাশের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশ ও পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১২ সালে সাতক্ষীরায় প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন প্রাণনাথ দাস। এরপর সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের স্ত্রী ইতি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বড় ভাই বিশ্বনাথ দাসকে নিয়োগ দেন।
ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা সাপটি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন
লাখপ্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা মুনাফা এবং ডিপিএসে সঞ্চয়কৃত টাকা পাঁচ বছরে দ্বিগুণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের কাছ থেকে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান প্রাণনাথ। এরপর টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।