বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : মহাখালীর আমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের কারণে কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কল জনিত সাময়িক অসুবিধা হতে পারে বলে জানিয়েছে গ্রামীণ ফোন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমাদের টিম দ্রুততার সঙ্গে সমস্যাটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ট্রান্সমিশনে গ্রামীণফোনের দুটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এছাড়া সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে গেছে। সারাদেশে সমস্যা হচ্ছে।
আগুন লাগার পর রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আটকেপড়ারা ভেতর থেকে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। তারা উদ্ধারকারীদের লক্ষ্য করে আলো জ্বালাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকলে খাজা টাওয়ারের আগুন লাগে। আগুন নিয়েন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে।
এখন পর্যন্ত ভবন থেকে ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। ধারণা করা হচ্ছে, ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ আটকে আছে ভবনটিতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছে আটকে পড়ারা। তারা ওপর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বার বার আকুতি জানাচ্ছেন তাদের নামিয়ে আনতে। তাদের মধ্যে অনেকের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে রাত ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ভবনের ভেতর থেকে ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিস টিটিএলের সাহায্যে খাজা টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের জানালার গ্লাস ভাঙছে। একইসঙ্গে দেখা হচ্ছে কোনো ফ্লোরে আগুন ও মানুষ আছে কি না।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, খাজা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। ঘটনাস্থলে দুইটি লেডার সংবলিত অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজের গাড়ি (টিটিএল) নেওয়া হয়েছে। টিটিএল দিয়ে টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরের গ্লাস ভাঙা হচ্ছে। গ্লাস ভেঙে দেখা হচ্ছে ভিতরে আগুন ও মানুষ আছে কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।