জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ১১ হাজার ৮৪৫ দশমিক ১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। তৃতীয় প্রান্তিকে ৭ দশমিক ৬১ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের সাথে যুক্ত হয়েছেন, ফলে বছরের প্রথম ৯ মাস শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ।
গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৭ দশমিক ৯ শতাংশ বা চার কোটি ৭৫ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও ডেটা সেগমেন্ট সহ রাজস্ব ও ইবিআইটিডিএ উভয় ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। সহজ ডেটা পোর্টফোলিও, পারসোনালাইজড অফার ও অত্যাধুনিক ডিজিটাল সক্ষমতার মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের নানা ধরণের চাহিদা পূরণে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বারোপ করেছি, যে কারণে আমাদের গ্রাহকদের ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগে আমাদের প্রচেষ্টা, গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে, দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্ক হিসেবে আমাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। গ্রাহকরা আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কেন্দ্রে রয়েছেন, পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রমে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি।’
গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘কার্যক্রমগত উৎকর্ষ অর্জনে গ্রামীণফোনের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি ইতিবাচক রাজস্ব প্রবৃদ্ধির কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে বছরপ্রতি ৫.৭ শতাংশ ইবিআইটিডিএ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। আগের প্রান্তিকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পরে বছরপ্রতি মোট রাজস্ব বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।’
তিনি জানান, সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রাজস্বে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিই মূলত মোট রাজস্বের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। গত প্রান্তিকে সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রাজস্বে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ডেটা রাজস্বে ধারাবাহিক দুই সংখ্যার প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মূল ভূমিকা রেখেছে। ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মার্জিন নিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৪৭ দশমিক ২ কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত ফোরজি নেটওয়ার্ক কাভারেজ বিস্তৃত করা ও ২৬০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করে এ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ২৭৮ দশমিক ৩ কোটি মূলধনী ব্যয় (ক্যাপেক্স) বিনিয়োগ করেছে (লাইসেন্স, লিজ ও এআরও ব্যতীত)। গত ১২ মাসে ১৯০০+ নতুন ফোরজি সাইট ও ১৭০০+ নতুন কাভারেজ সাইট চালু করা হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকের শেষে ফোরজি সাইটের সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ২১ হাজারে, যার মাধ্যমে ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষকে ফোরজি কাভারেজের সেবা দেয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট, ডিউটি, লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দ ফি প্রভৃতি বাবদ ৯ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে, জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্বের ৮০ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।