লাইফস্টাইল ডেস্ক: পৃথিবীর বুকে যে কোনও বস্তুকে উপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে, তা মাটির দিকে ধাবমান হয়। এই সত্য ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সপ্তদশ শতকে আবিষ্কার করেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আইস্যাক নিউটন। উল্লেখ্য, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে হাঁটা চলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ স্বাভাবিকভাবে ঘটে যায় পৃথিবীর বুকে। কিন্তু জানেন কি, এই বিশ্বেই এমন একাধিক জায়গা রয়েছে, যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন ওঠে! এমন ছয়টি বিস্ময়কর তথা রহস্যময় এলাকার তথ্য দেখে নেওয়া যাক।
১. ভারত- পুনের কাছে জুন্নার এলাকার কাছে পশ্চিমঘাট পর্বতে রয়েছে এক বিস্ময়কর ঝর্ণা। যেখানে ঝর্ণার জল নিচের দিকে এগিয়ে যেতেই, তা উপরের দিকে উঠে আসতে থাকে। অনেকে বলেন, এই এলাকায় সম্ভবত কাজ করে না মাধ্যাকর্ষণ শক্তি! তবে বিজ্ঞানীদের মতে এই এলাকাটিতে প্রবল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটে যায়।
২. তুরস্ক- মাউন্ট আরাগাটস হল এমন এক জায়গা যেখানে এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকেন অনেকেই। তুরস্কের কাছে আরমেনিয়ার মাউন্ট আরাগাটসে একটি গাড়ি পাহাড়ের উপর চালক ছাড়াই চলতে পারে বলে দাবি পর্যটকদের। তবে এর নেপথ্য কারণ হিসাবে রয়েছে একাধিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
৩. দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু মিস্টিরিয়াস রোড। জেজু দ্বীপে থাকা এই রাস্তাকে অনেকেই দোক্কায়েবি রোডও বলেন। এই রাস্তার অপটিক্যাল ইল্যুশন আপনার মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। এটির ঢাল উতরাই যায়, কিন্তু চারপাশের উচ্চতার কারণে উল্টো দিকে দেখা যায়।
৪. আমেরিকার হুভার বাঁধ এমনই একটি রহস্যজনক এলাকা। এই এলাকায় কোনও বোতলের ঢাকনা খুললেই জল উপরের দিকে যেতে দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বাঁধের নির্মাণের বিশেষ প্রক্রিয়ার জন্য এখানের হাওয়া খুব জোরালো।
৫. অস্ট্রেলিয়ার ম্যাগনেটিক হিল এমন ঘটনার অন্যতম উদাহরণ। দক্ষিণ অস্ট্রোলিয়ার এই জায়গায় গাড়ি চালালে মনে হবে, তা উপরের দিকে যাচ্ছে। তবে এটি স্রেফ একটি অপটিক্যাল ইলিউশন।
৬. ভারতের লেহ এলাকায় এমন অপটিক্যাল ইলিউশনে ভরা একটি রাস্তা রয়েছে। দূর থেকে দেখে মনে হবে, তা উপরের দিকে যাচ্ছে, তবে আসলে তা নিচের দিকে আসছে।
সূত্র: হিন্দুস্তাইন টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।