আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পর প্রায় একমাস বন্ধ থাকার পর ট্রেডিংয়ের প্রথম দিনে পর বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পুঁজিবাজারে ব্যাপক উত্থান হয়েছে।
বিদেশীদের সাথে বাণিজ্যে এবং রাশিয়ান স্টকগুলোর স্বল্প বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা সত্ত্বেও আংশিকভাবে শুরু হয়েছে দেশটির পুঁজিবাজারের লেনদেন। খবর রয়টার্সের
গতমাসের ভয়াবহ পতনের প্রেক্ষিতে ১ মার্চ রাশিয়ান সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো পুঁজিবাজারে ১ ট্রিলিয়ন রুবল বা ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। যদিও সেই অর্থ এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা পরিষ্কার নয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।
৪ সপ্তাহ আগে প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার ওপরে পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মস্কোর গৃহীত পাল্টা ব্যবস্থা দেশটির পুঁজিবাজারের উত্থানের প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিসিএস ব্রোকারেজ একটি নোটে বলেছে, বাজার খোলার পর থেকে বিনিয়োগকারীরা রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহী হন। অর্থ মন্ত্রণালয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে এ রকম একটি খবরে পুঁজিবাজারের আস্থা ফিরে আসে বলে মনে করছেন তারা।
সপ্তাহের ব্যবধানে রাশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দর প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। রাশিয়ান পুঁজিবাজারে জ্বালানি সংস্থাগুলো বিশেষ করে রাশিয়ান তেল ও গ্যাস উৎপাদক কোম্পানিগুলো যেমন নোভেটেক, রোজনেফট, লুকওয়েল, গ্যাজপ্রম এর মতো কোম্পানিগুলির শেয়ার দর ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
‘বন্ধুত্বহীন’ দেশগুলোতে তার গ্যাস রুবলে বিক্রি শুরু করবে বলার পরে মুদ্রাটি বুধবার তিন সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী স্তরে অবস্থান করছে। ডলারের বিপরীতে ২ শতাংশ এবং ইউরোর বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে রুবলের দাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।