জুমবাংলা ডেস্ক : আট শর্তে এমপিভুক্ত হচ্ছেন বাদ পড়া ডিগ্রি (পাস) কলেজের তৃতীয় শিক্ষকরা। ফলে এক দশকের বেশি সময় বিনা বেতনে চাকরি করা তৃতীয় শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপনের অবসান হচ্ছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) ডিগ্রি স্তরের তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরে গভর্নিং বডির নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় শিক্ষকদের আটটি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো:
শর্তগুলো হলো–
১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ডিগ্রি স্তর এমপিওভুক্ত থাকতে হবে।
২. নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শিক্ষকের নিয়োগকালীন কাম্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকতে হবে।
৩. এ বিভাগের ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল প্রকাশিত (৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০২৭.০০২.২০১৯.৬৬ স্মারক নম্বর) পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যানবেইসে অনলাইনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ডেটাবেজে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে তুলনামূলক যাচাই-বাছাই করতে হবে। ডেটাবেজে তথ্য যথাযথ না থাকলে কোনো তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা যাবে না।
৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ অক্টোবর প্রকাশিত (৩৭.০০.০০০০.০৭৩.০৮.০০৬.১৬-৩৫৪ স্মারক নম্বর) পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ পাওয়া তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে।
৫. তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানে নতুনভাবে কোনো তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।
৬. নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক কাম্য শিক্ষার্থী (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি তথ্যানুযায়ী) থাকতে হবে। তবে বর্তমানে কাম্য শিক্ষার্থী না থাকায় কোনো শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে না পারলে পরবর্তী সময়ে কাম্য শিক্ষার্থী পূরণ হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে এমপিওভুক্ত হতে পারবে।
৭. নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির পর, ওই এমপিও পাওয়া শিক্ষকদের নাম, পদবি, বিষয়, প্রতিষ্ঠানের নাম ও শিক্ষার্থীর সংখ্যাসহ প্রতিবেদন আগামী ৬ মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
৮. প্রতিষ্ঠানে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা (বিষয়ভিত্তিক) যথাযথ থাকতে হবে। তা না হলে ব্যক্তি এমপিওপ্রাপ্ত হবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রথম ধাপে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২ জানুয়ারি ডিগ্রি স্তরের ১৫৩ জন তৃতীয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা হয়।
এমপিওভুক্তির পর এসব শিক্ষককে শুরুতে ৯ম গ্রেড অনুযায়ী মূল বেতন ২২ হাজার ৫০০ টাকা দেয়া হবে। এর সঙ্গে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।