আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভূমিকম্পের তীব্রতার মধ্যে হাজার হাজার বাসিন্দা গ্রীক দ্বীপ সান্তোরিনি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রবিবার থেকে প্রায় ৬ হাজার মানুষ ফেরিতে করে দ্বীপ ছেড়েছেন।
আজ মঙ্গলবার জরুরি বিমান ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দ্বীপের কাছে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ টিরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই কম্পন কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। কর্তৃপক্ষ পুরো সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ রেখেছে। বড় ধরণের অভ্যন্তরীণ সমাবেশের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সান্তোরিনি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। যা তার সাদা রঙের ভবনের জন্য পরিচিত। তবে যারা চলে যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই স্থানীয়।
মঙ্গলবার ভোরে সান্তোরিনির উত্তর-পূর্বে ৪.৭ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে শত শত মানুষ মূল ভূখণ্ডের দিকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিতে ওঠার জন্য একটি বন্দরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিলেন।
জাহাজে ওঠার আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ১৮ বছর বয়সী এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “সবকিছু বন্ধ। এখন কেউ কাজ করে না। পুরো দ্বীপটি খালি হয়ে গেছে।”
এজিয়ান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, রবিবার থেকে ফেরিতে করে দ্বীপ ছেড়ে যাওয়া ৬ হাজার লোকের পাশাপাশি সোমবার এবং মঙ্গলবার প্রায় ২৫০০ থেকে ২,৭০০ যাত্রী বিমানে করে সান্তোরিনি থেকে এথেন্সে যাবেন।
জলবায়ু সংকট ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পর ক্যারিয়ারটি জানিয়েছে যে তারা তাদের সময়সূচীতে তিনটি জরুরি ফ্লাইট যুক্ত করেছে।
সান্তোরিনি একটি ছোট দ্বীপ যার জনসংখ্যা মাত্র ১৫ হাজার ৫০০। এই দ্বীপটি প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটককে স্বাগত জানায়। ১৮ বছর ধরে সান্তোরিনিতে বসবাসকারী ট্যুর গাইড কোস্টাস সাকাভারাস সোমবার তার স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে দ্বীপ ছেড়েছেন।
তিনি বিবিসি নিউজকে বলেন, “আমরা সতর্কতা হিসেবে মূল ভূখণ্ডে আসাকে ভালো বলে মনে করেছি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।