স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মঞ্চে গুজরাট টাইটান্স। আর প্রথমবার অংশ নিয়েই শিরোপা নিজেদের করে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। আহমেদাবাদের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সহজ জয়ে আইপিএল শিরোপা জিতলো হার্দিক, রশিদ খান, ডেভিড মিলাররা।
এবারের আইপিএলের শুরুতেও কেউ সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়নের নাম হিসেবে ভাবেনি হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে। দলে ঠিক তারকার মেলা নেই। বড় নাম খুঁজতে গেলে এক রশিদ ছাড়া কার উপরই বা ভরসা করবে দল? মিলার নাকি হার্দিক? মিলারকে তো দলে টানা নিয়েই হলো কত নাটক। আর হার্দিক খেলার মধ্যে নেই অনেকদিন।
বাকী যারা আছেন শুভমান গিল, ম্যাথু ওয়েড কিংবা লোকি ফার্গুসন; নিশ্চিতভাবেই তারা ভালো প্লেয়ার, কিন্তু ম্যাচ উইনার কই? এমন সব আলোচনা নিয়েই আইপিএলের মঞ্চে প্রথমবার পা গুজরাট টাইটান্সের।
সেখান থেকে রাউন্ড রবিন লিগের গ্রুপ পর্যায়ে ১৪ ম্যাচের ১১টিতেই জিতে শীর্ষ দল হিসেবে সবার আগে প্লে অফে জায়গা নিশ্চিত করলো দলটি। ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগেই এই রাজস্থানকে হারিয়েই শিরোপার লড়াইয়ের জন্য নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করলো।
এরপর প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে রাজস্থানের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামলো আসরের সবচেয়ে সেরা দল। এখানেও রীতিমতো আধিপত্য দেখিয়ে জিতে নিলো নেভি ব্লু কালারের জার্সিধারীরা। যোগ্য দল হিসেবে জিতে নিলো নিজেদের অভিষেক আইপিএল শিরোপা।
অপরদিকে রাজস্থান চলতি আসরে গুজরাটের কাছে টানা তিন হারে আক্ষেপের আকাশ নিয়ে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হলো।
ফাইনালেও বড্ড একপেশে খেলা হয়ে গেছে। টসে জিতে এদিন আগে ব্যাটিং করে সর্বসাকুল্যে ৯ উইকেটে ১৩০ রান সংগ্রহ করতে পারে রাজস্থান। ব্যাট হাতে দলটির পক্ষে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন জস বাটলার, করেছেন ৩৯ রান। এছাড়াও জাসওয়ালের ২২, রিয়ান পরাগের ১৫ তে কোনোরকমে একশোর কৌঠা পার করে সাড়ে ছয় রান রেটের লক্ষ্য দেয় দলটি।
এদিন ব্যাট হাতে বাটলার সফল হতে না পারলেও ৩৯ রানের সুবাদে এবারের আসরে সর্বমোট ৮৬৩ রান নিজের নামের পাশে সংগ্রহ করে নিলো এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। যা আইপিএলের এক আসরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এক আসরে সর্বোচ্চ ৯৭৩ রান বিরাট কোহলির।
এদিন গুজরাটের বোলাররা মিতব্যয়ী বোলিং করেন। যেখানে সবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। রশিদও মাত্র ১৮ রান দেন ৪ ওভারে, শিকার করেন ১ উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে গুজরাট। তবে এবারের আসরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক হার্দিক দলকে পথ দেখান। ওপেনার গিলকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে গুজরাটকে জয়ের পথ দেখান। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩০ বলে ৩৪ রান করেন যুজবেন্দ্র চাহালের বলে বিদায় নেন তিনি।
অধিনায়ক ফিরলেও বাকী কাজ সারতে মোটেও ভুল করেননি মিলার ও গিল। মাত্র ১৯ বলে ৩২ রান করে দলের জয় ত্বরাণ্বিত করেন মিলার। অপর প্রান্তে ৪৩ বলে ৪৫ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলে জয়ের রান তুলে নিয়ে গুজরাটকে আনন্দে ভাসান গিল।
আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে কেবল রাজস্থান রয়্যালসই নিজেদের অভিষেক আইপিএলে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। ২০০৮ সালের প্রথম আইপিএলের সময়। এবার তাদের হারিয়েই একই কীর্তি গড়লো নবাগত গুজরাট।
সালাহদের কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তুললো রিয়াল মাদ্রিদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।