বিনোদন ডেস্ক : গায়ক শিবলুর দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন সিনেমার অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। হয়তো বলতে চাইছেন যে, হ্যাঁ, ইনিই ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি গেয়েছেন
আসছে চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমনের এই সিনেমার গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ এখন মুখে মুখে ঘুরছে। যখন একটি গান ছড়িয়ে পড়ে তখন নেপথ্যের মানুষকে খোঁজে সবাই। এই গানের নেপথ্যের অন্যতম দুজনের একজন হলেন হাশিম মাহমুদ। গানটির গীতিকার ও সুরকার তিনি। আরেকজন হলেন শিবলু। যিনি গেয়েছেন।
চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের কাছে হাশিম মাহমুদ খুবই পরিচিত। তার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আড্ডার সম্পর্ক সুমনের। রয়েছে অনেক মধুর স্মৃতিও। তবে মাঝে নানা ব্যস্ততার কারণে হাশিম থেকে আলাদা দূরে সরে যান। অনেকটা যোগাযোগের বাইরে। কিন্তু ‘হাওয়া’তে যে হাশিমের গানটিই লাগবে। তাই টানা চার মাস খুঁজে হাশিম মাহমুদকে বের করা হয়। এরপর ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটির অনুমতি নেওয়া হয়।
সুমন বলেন, ‘ঠিক করেছিলাম গানটা সিনেমায় রাখব। খুঁজেও হাশিম ভাইকে পাচ্ছিলাম না। চারুকলায় আসেন না তিনি। পরে জানতে পারি তিনি অসুস্থ। হাশিম ভাইকে খুঁজে পেলাম নারায়ণগঞ্জে। তাঁকে দিয়ে গানটি গাওয়াতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি তাঁর অসুস্থতার কারণে। ’
কাকে দিয়ে গাওয়ানো যায়? মেজবাউর রহমান সুমন ঠিক করলেন আরফান মৃধা শিবলুকে দিয়ে গাওয়াবেন। পরে তাঁকে দিয়েই গাওয়ানো হলো। এখন তো গানটি ভাইরাল।
শিবলু বললেন, কয়েকটি নাটকের গানে ও জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিলেও এটিই আমার চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে-ব্যাক। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রকাশের পর থেকেই যে প্রশংসা পাচ্ছি; এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘হাওয়া’ সিনেমার যখন প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছিল, সে সময়-ই নির্মাতা সুমন ভাই আমাকে বলেছিল, ‘শিবলু তোমাকে দিয়ে একটা গান গাওয়াবো। তবে কোন গান সেটা বলা হয়নি ওই সময়। হঠাৎ করে একদিন বলে, হাসিম ভাইয়ের এই গানটি তোমাকে দিয়ে গাওয়াচ্ছি। এরপর যখন রেকর্ডিং করা হয় খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ প্রথম সিনেমার জন্য গান করা। ‘
অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও শাহবাগ কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দশ-বিশ বছর ধরে যারা নিয়মিত আড্ডা দেন, তাদের কাছে নাকি পরিচিত একটি গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’। কিন্তু হাওয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই এলাকার বাইরেও ছড়িয়ে গেল গানটি- এমনটিই জানান শিবলু।
‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানে খমক ছাড়া কোনো বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। নৌকার সব কাঠ, বাঁশ, হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গানটি কম্পোজ করেছেন ইমন চৌধুরী। আর এসব অ-যন্ত্রগুলো বাজিয়েছেন মিঠুন চাকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।