ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিচার দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানী। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পরপরই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই মঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা। একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের দাবি, প্রকাশ্য দিবালোকে এই হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ভিড় বাড়তে থাকে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধারা সেখানে সমবেত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানান। তারা বলছেন, জুলাইয়ের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতেই পরিকল্পিতভাবে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগের সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ঘাতকের সেই গুলিটি সরাসরি তার মাথায় বিদ্ধ হয়েছিল। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানেই দীর্ঘ লড়াই শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাদি ছিলেন আপসহীন। তার মৃত্যুর খবরটি ফেসবুক পেজে প্রকাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে তার অনুসারীদের মধ্যে শোক ও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, ঘাতকদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শাহবাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



