হাদি গুলিবিদ্ধ : ফয়সালের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ এনবিআরের

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার মালিকানাধীন আইটি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’-এর সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

আজ রবিবার এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সদস্য।

এদিকে, হাদির ওপর গুলিবর্ষণে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে ৫৪ ধারায় পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-২ জানায়, আব্দুল হান্নান মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকার বাসিন্দা হলেও তার স্থায়ী ঠিকানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর। তিনি হাদিকে গুলিবর্ষণের প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের পূর্বপরিচিত ব্যক্তি।

র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিআরটিএ থেকে যাচাই করে মালিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হান্নান বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন। কখনো বলেছেন মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে দিয়েছেন, আবার কখনো বলেছেন সেটি গ্যারেজে ছিল। তবে এসব দাবির পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

হান্নান দাবি করেছেন, প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সালকে তিনি চেনেন, তবে দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। যদিও র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ পরিচিত। হান্নানের নির্দিষ্ট কোনো পেশার তথ্যও পাওয়া যায়নি। তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ফয়সাল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে মাসে $১০,০০০ আয়: কীভাবে সম্ভব?

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজধানীর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে গুলি করে শরিফ ওসমান হাদিকে আহত করে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় এখনো সরাসরি হামলায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও, ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত ও মালিককে আটক করাকে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।