আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পবিত্র হজ পালন করার ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়াকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। হজ প্রক্রিয়া আরও গতিশীল এবং পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিত করতে শরীয়াহ আইনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সৌদির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ মতামত দিয়েছে, যারা অনুমতি ছাড়া হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজ করার সুযোগ দেয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে ‘পাপ’ করবেন।
গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে অনুমতি নিতে হবে।
‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানায়, হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যেসব মুসল্লির আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে, তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করার বিধান রয়েছে।
মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এমনকি হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টিও আবশ্যিক করে দিয়েছে সৌদি সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।