জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের হাকিমপুরে বাসভবনের ছাদে বাগান তৈরি করে বাজিমাত করেছেন নারগিস পারভীন নামের এক গৃহিণী। তার ছাদ বাগানে রয়েছে দেড় শতাধিক গাছ। আছে ফল ও বিভিন্ন জাতের মসলার গাছ, পাশাপাশি নানা সবজি। তার ছাদ বাগান দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
হাকিমপুর উপজেলার মুহাড়া-পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাগরিস পারভীন। পেশায় তিনি একজন গৃহিনী। শখের বসে নিজ বাসভবনে তিনি এই ছাদ বাগান গড়ে তুলেছেন। শুরু থেকে অনেক কষ্ট ও যত্ন সহকারে গাছগুলো লালনপালন করেছেন তিনি। বর্তমান প্রতিটি গাছে ফল আসতে শুরু করেছে।
নারগিস পারভীনের ছাদ বাগানে রয়েছে ড্রাগন, কমলা, আপেল, আঙ্গুর, মাল্টা, লেবু, আনার, আমড়া, আম, বাদাম, জলপাই, বরইসহ দেড় শতাধিক ফলের গাছ। এছাড়াও রয়েছে এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, দারুচিনিসহ বেশকিছু মসলা গাছ এবং নানা জাতের সবজি। তার বিশ্বাস, এসব ফল ও সবজি পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে তার পরিবারে।
এই উপজেলায় প্রায় ছোট-বড় ৪০টি ছাদ বাগান রয়েছে। যদি সরকারিভাবে সহযোগিতা কিংবা প্রণোদনা পায় তাহলে ছাদ বাগানের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী রিনা আক্তার বলেন, নারগিস আপার ছাদ বাগানের কথা বর্তমান আমাদের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার বাগানে প্রায় সব ধরনের গাছ রয়েছে। আমি প্রতিদিন তার বাগানে আসি। এখানে আসলে আমার অনেক ভাল লাগে। তবে আমারও খুব ইচ্ছে নিজ বাড়িতে নারগিস আপার মতো একটি ছাদ বাগান তৈরি করার।
বাগান মালিক নারগিস পারভীন বলেন, আমি প্রথমে শখের বসে এই বাগানটি করেছি। আমার ছাদ বাগানে যত প্রকার ফল, সবজি এবং মসলা আছে, এগুলো সব ফরমালিনমুক্ত। আমি নিজে প্রতিনিয়ত এসব খেয়ে থাকি। পাশাপাশি এলাকাবাসীসহ আত্মীয় স্বজনদেরকেও দিচ্ছি। আশা করছি, ফরমালিন মুক্ত এসব পণ্য বাজারজাত করবো।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, নারগিস পারভীনের ছাদ বাগানটি একটি মনোরম পরিবেশে তৈরি হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা প্রতিনিয়ত এই বাগানটি পরিদর্শন করি এবং পরামর্শ দিয়ে আসছি। প্রায় সব ধরনের ফল, সবজি আর মসলা জাতের গাছ রয়েছে। তার ছাদ বাগান দেখে অনেকেই এভাবে বাগান তৈরিতে উৎসাহিত হবে। বর্তমান এই উপজেলায় ছাদ বাগান অনেক বেশি, প্রায় ৪০টি। আশা করছি আগামিতে আরও বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।