বিনোদন ডেস্ক : এখন তার বয়স ৫৮ বছর। অথচ তারুণ্যের কোনো কমতি নেই হলিউড অভিনেত্রী হ্যালি বেরির কাজে। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্ট-এর মঞ্চে সাহসী লাকুয়ান স্মিথ গাউন পরে ভীষণ সাহসী লুক দিয়েছেন- যা নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা আর বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী।
পাক্কা আট বছর বিরতি দিয়ে এ ইভেন্টে অংশ নিয়েই নিজেকে তরুণীদের কাতারে শামিল করেছেন তিনি। তার এ অসাধারণ প্রত্যাবর্তন ভক্তদের দু’ভাগ করে দিয়েছে। একভাগ করছেন সমালোচনা, অন্যরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন আসন্ন ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম এই বিচারককে।
গত ৫ মে ‘সুপারফাইন : টেইলরিং ব্ল্যাক স্টাইল’ থিমকে ধারণ করে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ফ্যাশন আইকন ও অভিনেত্র হ্যালি বেরি। সাদা-কালো ডোরা কাটা জেব্রা স্টাইলের জটিল জাপানি বিড সূচিকর্ম দিয়ে সাজানো গাউনটির ওপর তিনি পরেছিলেন টাক্সেডো জ্যাকেট আর কালো নেটের ওড়না। শালীনতার কিছুটা ঘাটতি থাকায় নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় বিব্রত অভিনেত্রী নিজেও। একজন মন্তব্য করেছেন এটি কোনো পোশাক নয়, অন্তর্বাস।
এর জবাবে অভিনেত্রী জানান, আমি এটা পরেছি ঠিক, কিন্তু জনসমক্ষে নয়। প্রচলিত রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, ‘এই গাউনটি পরা আমার জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু আমি এর জন্য গর্ববোধ করি। এখানে ব্যক্তিত্ব বিসর্জনের কোনো প্রশ্ন আসেনা।’
বসন্তকালীন কস্টিউম ইনস্টিটিউট আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পীদের উপস্থিতি অবাক করার মতো। এবারের নতুন এই প্রদর্শনীতে আটলান্টিক প্রবাসীদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ পরিচয় গঠনে পোশাক ও স্টাইলের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
এ বছর প্রথমবারের মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবের জুরিসদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৩ থেকে ২৪ মে অনুষ্ঠিতব্য এ উৎসবে তিনি জুলিয়েট বিনোচি, জেরেমি স্ট্রং ও পায়েল কাপাডিয়ার মতো তারকাদের সঙ্গে মূল প্রতিযোগিতায় বিচারক প্যানেলে যোগ দেবেন। তার ক্যারিয়ারে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ১৯৯১ সালের অভিষিক্ত জাঙ্গল ফিভার এবং ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া এক্স-মেন : দ্য লাস্ট স্ট্যান্ড কান চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পেয়েছিল।
কানের লাল গালিচায় এবার তিনি নতুন কোনো আলোচনার জন্ম দেবেন কিনা, এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। ২০০২ সালে মার্ক ফরস্টারের মনস্টার’স বল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার নিয়েছেন অস্কারের মঞ্চ থেকে। তিনি এ পুরস্কার জেতা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী। গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চ থেকেও পুরস্কার বগলদাবা করে বাড়ি ফিরেছিলেন এই কালোমানিক।
মডেল হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করা হ্যালি বেরি ১৯৮৬ সালে মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। ১৯৯১ সালে সিনেমায় অভিষিক্ত হওয়া এ অভিনেত্রীর প্রথম আলোচনায় আসেন রেগিনাল্ড হাডিন পরিচালিত বুমেরাং সিনেমায় অভিনয় করে। মাত্র ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের সিনেমাটি বক্সঅফিস থেকে আয় করেছিল ১৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্য ফ্লিনস্টোন্স, বুলওয়ার্থ, ডাই অ্যানাদার ডে, এক্স-মেন সিরিজ প্রভৃতি। আগামী বছরের ফেব্র“য়ারিতে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত আরেকটি সিনেমা ক্রাইম ১০১।
তিনবার বিয়ে করা এ অভিনেত্রীর বর্তমান সঙ্গী আমেরিকান গায়ক ভ্যান হান্ট। ১৯৯৩ সালে প্রথমে বিয়ে করেছিলেন আমেরিকার বেসবল খেলোয়াড় ডেভিড জাস্টিসকে। এ সংসার টেকে মাত্র চার বছর। এরপর বিয়ে করেন আমেরিকান গায়ক ও গীতিকার এরিক বেনেটকে। এ সংসারও টেকে চার বছর। তিনি তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ২০১৩ সালে। ফরাসি অভিনেতা অলিভিয়ার মার্টিনেজের সঙ্গে এ সংসার টিকেছিল মাত্র তিন বছর। যদিও এ বিয়ের আগে তিনি পাঁচ বছর ডেইটিং করেছিলেন ক্যানাডিয়ান মডেল গ্রাব্রিয়াল অব্রি’র সঙ্গে। যদিও দুই সন্তানের মা হ্যালি বেরি কখনোই জানাননি তিনি আর বিয়ে করছেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।