আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৩ বছর বয়সী মিয়া শেম। হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নিজ দেশ ইসরায়েলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শেম অভিযোগ করেন, সুপরিচিত একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার তাকে ধর্ষণ করেছেন। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে হামাসের হামলার সময় তাকে জিম্মি করা হয়। আন্তর্জাতিক চাপ ও দেনদরবারের পর হামাসের হাত থেকে মুক্তি পান মিয়া শেম। কিন্তু দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে যে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সে সম্পর্কে ইসরাইলের চ্যানেল ১২-কে বিস্তারিত বলেছেন তিনি।
মিয়া শেম একজন ফরাসি বংশোদ্ভূত ইসরায়েলি। ইসরায়েলে ধর্ষিত হওয়া সম্পর্কে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজ দেশে এই ঘটনা ঘটেছে আমার সঙ্গে। যেখানে আমার সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা।
মিয়া শেম জানান, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে গত মাসে। তারপর থেকে তিনি মানসিক যন্ত্রণায় কাতর। এই যন্ত্রণা কাটিয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, আমি এই কাহিনী বলতে এসেছি। গত মাসে আমার একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে নিজের ঘরের মধ্যেই আমাকে বন্দি করে ফেলেছি। চরম মানসিক অস্থিরতায় আছি। দিনশেষে আমি একজন নির্যাতিতা, আমি আহত।
ধর্ষণের জন্য তিনি দায়ী করেন তার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষককে। তার বয়স ৩০-এর কোটায়। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি একজন ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার। সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীসহ তার ক্লায়েন্ট তালিকায় আছেন বেশ কিছু সেলিব্রেটি। এ ঘটনায় মার্চে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তথ্য প্রমাণের অভাবে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে তদন্ত চলছে।
জানা গেছে, তেল আবিবে ওই ব্যক্তির জিম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মিয়া শেম। তার বাড়ি থেকে ওই জিম কয়েক মিনিটের পথ। তিনটি প্রশিক্ষণ সেশনের জন্য সেখানে যান মিয়া শেম। তারপরই তাকে ধর্ষণ করা হয়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ইসরায়েলি মিডিয়া বলেছে, মিয়া শেম যখন পোশাক পরিবর্তন করছিলেন, তখন বেশ কয়েকবার তার ড্রেসিং রুমে প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
মিয়া শেম বলেছেন, হলিউডের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথা বলেছেন ওই ব্যক্তি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার জিম্মি দশার কথা বলার জন্য বিগ স্ক্রিনে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার। ওই ব্যক্তি কখন আমার কক্ষে প্রবেশ করেছেন, তা স্মরণ করতে পারছি না। আমি কিছুই মনে করতে পারছি না। তবে আমার শরীর স্মরণ করতে পারে। আমার শরীর অনুভব করে। আমার দেহ জানে কি এক কষ্টের ভেতর দিয়ে গিয়েছি।
মিয়া শেম আরও বলেন, আমি একটি বই লিখছি। আমি জানি অনেক মানুষ আছেন, যারা আমার এই কাহিনী জানতে চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।