আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শনিবার হামাস হামলা শুরুর পর থেকে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ অব্যাহত আছে। আজ যা যা ঘটেছে তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
– ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, লেবানন থেকে সীমান্তে একটি ইসরায়েলি সামরিক পোস্টের দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
– স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, শত শত বিমান হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকা ধ্বংস হয়েছে। রাতভর হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।
– গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী তিন ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।
-গাজা সীমান্তে ইসরায়েলের কাফার আজায় ভয়াবহ দৃশ্য, আনেক লাশ পড়ে আছে। পড়ে থাকা লাশের মধ্যে হামাস যোদ্ধাদের লাশও আছে। হামাস ইসরায়েলি বাড়িতে ঢুকে হত্যা করেছে।
-যুদ্ধে ১৭ জন যুক্তরাজ্যের নাগরিক নিহত বা নিখোঁজ।
-গাজা উপত্যকার লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে বিমান ব্যবহার করছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। সামরিক বাহিনী শুধু বলেছে, আজ তারা স্থলভিত্তিক রকেট লঞ্চারও ব্যবহার করে গাজায় হামলা চালিয়েছে।
-গাজা সীমান্তে প্রায় তিন লাখ সৈন্য সমাবেশ করেছে ইসরায়েল। যেকোনো সময় গাজায় বড় ধরনের স্থল হামলা শুরু করতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী।
– এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনে প্রাণ গেছে ৯৫০ জনের।
-আন্তর্জাতিক আইনের একজন বিশেষজ্ঞ গাজায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় মধ্য গাজা শহরের তার বাড়ির ভেতরে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
-ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ওই উপত্যকার সীমান্তবর্তী আল-কারামা অঞ্চলের একটি অংশ বোমা মেরে পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
-ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হামাসের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি উন্নত মনিটরিং সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে, যা গোপনে গাজার আকাশে বিমান শনাক্ত করতে ব্যবহার করত ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি।
-গাজায় অনুপ্রবেশকারী ১০০০ হামাস যোদ্ধা হত্যার দাবি ইসরায়েলের।
-ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২২ হাজার ৬০০টিরও বেশি ঘর-বাড়ি, ১০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে এবং ৪৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।