আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছে। তবে তারা এখনই আলোচনা ভেঙে দিচ্ছে না। তারা নিজেরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানিয়েছে।
হামাসের এক নেতা জানিয়েছেন, গাজার অন্যান্য গ্রুপের সাথে যুদ্ধবিরতির ‘প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি জানান, প্রস্তাবটির ব্যাপারে তারা ‘শিগগিরই’ মতামত দেবেন।
গত সপ্তাহে প্যারিসে কাতার, মিসর, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একটি অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করে। এতে ছয় সপ্তাহের অস্ত্রবিরতি এবং বন্দী বিনিময়ের কথা রয়েছে।
বেশ কয়েকটি মিডিয়ায় বলা হয়, হামাসের গাজা শাখার নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার বন্দী বিনিময়ের আগেই যুদ্ধ বন্ধ এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দাবি করেছেন।
হামাসের সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ফিলিস্তিনি কুদস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন যে পক্ষগুলো কোনো চুক্তির কাছাকাছি নেই। তিনি জানান, হামাস যুদ্ধ বন্ধের দাবি করছে।
এদিকে রোববার রাতে ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার বৈঠকে গাজা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর আবার পূর্ণ মাত্রায় হামলা শুরুর সম্ভাব্যতা, গাজায় এখনো আটক ১৩২ জনকে মুক্তির চুক্তি, হামাসের সাথে চুক্তির ফলে কোন কোন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে- ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক ইসরাইলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে জানান, সভায় লিকুদ পার্টির আইনমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, শিক্ষামন্ত্রী ইয়োভ কিশচ, পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেজেভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ, প্রবাসী ইহুদিবিষয়ক মন্ত্রী আমিচাই চিকলি জোর দিয়ে বলেছেন যে বন্দী বিনিময় নিয়ে বড় যেকোনো চুক্তি মন্ত্রিসভার পূর্ণ বৈঠকে অনুমোদিত হতে হবে।
এই ভ্যালেন্টাইনে প্রিয়জনের সাথে চুটিয়ে সেলফি তুলুন, বিশাল ছাড়ে 32MP ক্যামেরার Moto ফোন
বৈঠকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিদের বলেন, ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দীদের বিনিময়ের সময় নভেম্বরের একজনের বিনিময়ে তিনজনকে মুক্তির নীতিই অনুসরণ করা হবে। উল্লেখ্য, নভেম্বরে ১০৫ জন ইসরাইলি ও বিদেশী বন্দীকে মুক্তি দেয়া হলেও চুক্তি অনুযায়ী ছাড়া পেয়েছে ৮০ জন। বাকিদের হামাস শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে মুক্তি দিয়েছে। আর ইসরাইল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে।
বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, নেতানিয়াহু তাও অস্বীকার করেন।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, আল জাজিরা এবং অন্যান্য
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।