বিনোদন ডেস্ক : চটজলদি বড় হতে হরমোন ইঞ্জেকশন দিতেন তাঁর মা। এমন কথা এক সময় শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রী হংসিকা মোটওয়ানিকে। সেই কথার জবাব এতদিনে দিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছেন হংসিকা। তাঁর নানা পর্যায় দেখানো হচ্ছে ডিজনি প্লাস হটস্টারের ‘হংসিকা’স লাভ শাদি ড্রামা’ শোয়ে। সেখানেই এই পুরনো জল্পনার জবাব দিয়েছেন দক্ষিণী তারকা।
হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী ছিলেন হংসিকা। প্রথমে ‘সাকা লাকা বুম বুম’, পরে ‘দেশ মে নিকলা হোগা চাঁদ’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। তারপরই শিশুশিল্পী হিসেবে ‘কোয়ি মিল গ্যায়া’, ‘হাম কৌন হ্যায়?’, ‘আবরা কা ডাবরা’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পুরী জগন্নাথের তেলুগু সিনেমা ‘দেশামুদুরু’র মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে সফর শুরু করেন হংসিকা। সেই সিনেমার জন্য দাক্ষিণাত্যের সেরা নবাগতা নায়িকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পান।
হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘আপকা সুরুর’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন হংসিকা। কিন্তু সে সিনেমা বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। এরপর দক্ষিণী সিনেমাতেই মন দিয়েছেন তিনি। তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড় সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
‘হংসিকা’স লাভ শাদি ড্রামা’ শোয়ের দ্বিতীয় এপিসোডে হংসিকা জানান, ২১ বছর বয়সে তাঁকে শুনতে হয়েছিল, হঠাৎ বেড়ে ওঠার জন্য তাঁর মা নাকি তাঁকে হরমোন ইঞ্জেকশন দিতেন। এ কথা খবর হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছিল। হংসিকা জানান, এটা যে একটা মিথ্যে, গুজব তা সেই সময় তাঁর বলার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু এখন অনায়াসেই জবাব দিতে পারেন। এ বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে ব্যঙ্গের ছলেই অভিনেত্রীর মা বলেন, এমন কোনও রহস্য জানা থাকলে তো তিনি টাটা কিংবা বিড়লাদের মতো বড়লোক হয়ে যেতেন। পাঞ্জাবিদের ১২-১৬ বছরের মধ্যে গ্রোথ বেশি হয় বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।