বিনোদন ডেস্ক : ছোটপর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। অভিনয় কমিয়ে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নিজের মতামত তুলে ধরেন এ অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ সেই স্ট্যাটাসে জীবন, ভালোবাসা, রুচিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন শবনম ফারিয়া। তার মতে, সুখ মানেই ভালোবাসা।
ওই স্ট্যাটাসে শবনম ফারিয়া লেখেন, ‘জীবন আমাদের সঙ্গে এক অদ্ভুত খেলা খেলে… ধৈর্য, শক্তি, এমনকি বিশ্বাসকেও পরীক্ষা নেয়। কেউ কেউ ভাগ্যবান, তারা জীবনের পরীক্ষাগুলো সহজেই পার হয়ে যায়। আর তারপর আছে আমাদের মতো মানুষ…হয়তো আল্লাহ আমাদের একটু ভিন্নভাবে ভালোবাসেন…হয়তো তিনি আমাদের বেশি পরীক্ষা নেন, আগুনে পুড়িয়ে গড়ে তুলেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘জানো, সুখ প্রত্যেকের জন্য ভিন্নরকম। কারো কাছে সেটা ধনসম্পদ, কারো কাছে ক্ষমতা। কিন্তু আমার কাছে সেটা ছিল ভালোবাসা। পরিবারের ভালোবাসা, বন্ধুদের, অপরিচিতদের..আর, একজন বিশেষ মানুষের।’
নিজের জীবনযাপনের কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাসে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। বাজারে যাই, পথের খাবার খাই। একেবারে সাধারণ পোশাক পরি…কখনোই তথাকথিত ‘সেলিব্রিটি’ জীবনযাপন করিনি। হয়তো কারণ আমি তাদের একজন ছিলাম না। ছাত্রজীবন থেকে পেশাজীবনের পথচলায় আমি কখনো অসাধারণ ছিলাম না। সবসময় একদম মাঝারি মানের। কিন্তু আমি ছিলাম আলাদা। আমার চিন্তা কখনো জনস্রোতের সঙ্গে মেলেনি। আমার কাছে জীবন সবসময় সোজা— হয় সাদা, নয় কালো। ধূসর এলাকায় বাঁচতে আমি কখনোই শিখিনি।’
‘তবুও, জীবন যতই সাধারণ হোক না কেন, আমার হৃদয় সবসময় খুঁজেছে এক জটিল জিনিস—ভালোবাসা। সত্যিকারের ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা, যেখানে কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা তোমার বাজে গল্পগুলো শোনে, ইতিহাস, রাজনীতি, সিনেমা নিয়ে তর্ক করে…তোমার খুঁতগুলো জানে, তবুও পাশে থাকে। কিন্তু ভালোবাসা… সত্যিকারের ভালোবাসা…আমার জীবনে সবসময় এক প্রশ্নবিদ্ধ জিনিস ছিল, অথবা হয়তো সবচেয়ে বড় হতাশা,’ লেখেন শবনম ফারিয়া।
তিনি আরও লেখেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমার রুচি ভয়ানক। এখন পেছন ফিরে তাকালে হাসি পায়। আমি হয় এমন পুরুষদের পছন্দ করি যারা চেঁচামেচি করে, নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকে, অথবা এমন যারা ভীষণ মেধাবী কিন্তু আবেগহীন, নিজের জগতে ডুবে থাকা, নেশাগ্রস্ত টাইপ। কয়েকটা ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আর অসংখ্য হৃদয়ভাঙ্গার পর আমি বুঝতে পেরেছি—হয়তো আমি যা খুঁজে বেড়িয়েছি, তা আসলে বাস্তবে নেই। হয়তো আমি খুব বেশি উপন্যাস পড়েছি, বেশি কেড্রামা দেখেছি, যার ফলে মাথার ভেতর এক কল্পিত চরিত্র গড়ে উঠেছে। আর বাস্তব জীবনে? আমার পছন্দগুলো ছিল…একেবারে ভয়াবহ। তবুও…আমার ভেতরের নিরাশ প্রেমিকটা এখনো বেঁচে আছে, চুপচাপ…একদিন সে শিখবে—কীভাবে কথা না কেটে, মন দিয়ে শোনা যায়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।