জুমবাংলা ডেস্ক : কেউ তাকে ডাকেন মোবাইলের যাদুকর কেউবা মোবাইল কেডি। তিনি খিলগাঁও থানার এসআই মিল্টল কুমার দেব দাস। হারানো মোবাইল খুঁজে বের করাই যার অন্যতম নেশা। কর্মজীবনে ছিনতাই অথবা হারিয়ে যাওয়া অন্তত পাঁচ হাজার মোবাইল খুঁজে তিনি তুলে দিয়েছেন প্রকৃত গ্রাহকের হাতে।
হারিয়ে যাওয়া আই ফোন হ্যান্ড ওভার করছেন মোবাইল হারানোর সাধারণ ডায়েরি হলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন মাঠে। মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততায় কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর বা বিকেল হয় তা খুব একটা টের পান না।
এসআই মিল্টন কেডি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন।খিলগাঁও থানায় দায়িত্ব পালন করছেন ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীতে নয় বছরের চাকরি জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় পার করেছেন হারানো মোবাইল উদ্ধারের নেশায়।
কোনোটিতে সময় নিয়েছেন পাঁচ দিন, কোনোটির জন্য লেগে ছিলেন দুই মাস। মোবাইল খোঁজার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য তার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি বলেন,অনেকসময় গরীব রিক্সাওয়ালা কিংবা শ্রমিকরা তাদের হারানো ফোন উদ্ধারের আশায় আমার কাছে এসে জিডি করেন।
পাশাপাশি আমার এসএসসি ০২ ব্যাচের বন্ধুরাও হারানো মোবাইল পাওয়ার জন্য আমার কাছে আসেন। সবাইকে সমান গুরুত্বের সাথেই আমি তাদের হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি। কেডির কাছে সবাই সমান কে বন্ধু কে রিক্সাচালক সেটি মেটার না! মোবাইল উদ্ধার করাই তার প্রধান টার্গেট।
২০১৩ সাল থেকে প্রায় তিন হাজার হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছেন তিনি।বিগত এক বছরে শুধু খিলগাঁও থানার জিডির বিপরীতেই ২০০০ মোবাইল গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন,অনেক দামি জিনিস হারানোর চাইতে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি।
জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিলে তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চায় না। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক অভিযোগ আসে মিল্টনের কাছে। নিজ থানা ছাড়াও নানা স্থান থেকে হারানো মোবাইল খুঁজে পেতে ভুক্তভোগীরা আসেন খিলগাঁও থানায়। তিনি এমন অসাধারণ কাজের মাধ্যমে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের কাছ থেকেও পেয়েছেন একাধিকবার পুরস্কার।
শ্রাবন্তীর জবাবে সমালোচনার ঝড়, অভিরূপের সঙ্গে কি সম্পর্ক জানা গেল
ডিএমপি কমিশনারও তাকে ৩ বার পুরস্কৃত করেছেন। এছাড়া কুষ্টিয়া থাকাকালীন ৯ বার ও নড়াইলে চারবার পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। যারা মোবাইল ফোন হারানোর পর থানায় জিডি করতে অনীহা প্রকাশ করেন তাদের উদ্দেশ্যে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন,হারানো বা খোয়া যাওয়া মোবাইল দিয়ে অনেক অপরাধ সংগঠিত হয়। তাই মোবাইল ফোন হারানো গেলে নিকটস্থ থানায় সঠিক তথ্যসহ জিডি করা উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।