আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব হোলি খেলায় মেতে উঠেছিলেন একদল মানুষ। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া দুই মুসলিম নারীকে হেনস্তা করা অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। হেনস্তার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ভারতীয় প্ল্যাটফর্মে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে, উত্তর প্রদেশে বিঞ্জর এলাকার একটি রাস্তায় মোটরসাইকেলে বসে থাকা এক পুরুষ চালক ও আরোহী দুই নারীকে ঘিরে ধরেছে একদল মানুষ। অপেক্ষাকৃত তরুণ বয়সী সেই মানুষগুলোর হাতে ছিল পানি এবং রং। সেই রং মিশ্রিত পানি বাইকের আরোহী দুই নারীর ওপর ছিটিয়ে দেন তারা। অনেক অনুরোধের পরও এ ধরনের হেনস্তা থেকে রেহাই পাননি ওই দুই নারী। একপর্যায়ে বালতি ভর্তি পানিও তাদের দিকে ছুড়ে মারা হয়। শুধু তাই নয়, বাইকের চালক ব্যক্তি ও নারীদের মধ্যে একজনের মুখে জোর করে রং মাখিয়ে দেওয়া হয়।
ভিডিওতে নারীদের প্রতিবাদের মুখে হেনস্তাকারীদের বলতে শোনা গেছে—এটা তাদের ৭০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। একপর্যায়ে বাইকটিকে ছেড়ে দেওয়ার পর হেনস্তাকারীদের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতেও শোনা গেছে।
এ বিষয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে বিঞ্জর পুলিশ। সেখানকার পুলিশ প্রধান স্থানীয় পুলিশকে এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ অবস্থায় অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে ঘটনাটি ঘটেছে বিঞ্জরের ধামপুর এলাকায়। ভাইরাল ভিডিওটি পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে হেনস্তাকারীদেরও শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধ নারীর ওপর সহিংসতা সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তিন কিশোরকেও।
এদিকে ঘটনাটির প্রেক্ষিতে বিঞ্জর পুলিশের প্রধান নীরাজ কুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাক্সে হোলি খেলায় কাউকে হেনস্তা না করার আহ্বান জানিয়ে একটি টুইট করেছেন। নীরাজ লিখেছেন, ‘প্লিজ, জোর করে কারও ওপর রং ছিটাবেন না। এই নিয়মটি যে অমান্য করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।